সাকিব আল হাসান জ্বলে উঠলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে এনে দেন লড়াই করার মতো সংগ্রহ। ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে তারা। কিন্তু নেদারল্যান্ডস ১৫ ওভার পর্যন্ত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। বিক্রমজিৎ সিং ও সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ আনেন প্রথম ব্রেকথ্রু, ফেরান বিক্রমজিৎকে। তারপর এঙ্গেলব্রেখট মারকুটে ব্যাটিংয়ে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান। ১৫তম ওভারে রিশাদ হোসেন বল হাতে নিয়ে ম্যাচের গতি পাল্টে দেন। ব্যাকফুটে থাকা বাংলাদেশকে উচ্ছ্বাসে ভাসান তিনি। ওই ওভারে এঙ্গেলব্রেখটকে আউট করেন, এক বল বিরতি দিয়ে স্টাম্পিং হন বাস ডি লিড। সাকিব আল হাসান মাত্র ৫ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান মাত্র ১ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। রিশাদ ফিরেই আরেকটি উইকেট নেন। ৩ উইকেটে ১১১ রান করা নেদারল্যান্ডস ১১৭ রান করতেই হারায় ৭ উইকেট। বাংলাদেশের জয় তখন সময়ের ব্যাপার।
শেষ দুই ওভারে নেদারল্যান্ডসের লাগতো ৩৬ রান। মোস্তাফিজ ১৯তম ওভারে দিলেন মাত্র ৩ রান। তাসকিন আহমেদকে চতুর্থ বলে চার মারলেও তা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। বাংলাদেশি পেসার শেষ বলে টিম প্রিঙ্গলকে বোল্ড করেন। ওই ওভারে ৭ রানের বেশি হয়নি। ৮ উইকেটে ১৩৪ রানে ডাচদের থামিয়ে ২৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
রিশাদ ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। মোস্তাফিজ সমান সংখ্যক ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে পান এক উইকেট, ১৭টি বল ডট দেন। তাসকিন দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা বোলার। ১৩ ডট দিয়ে ৩০ রান দেন তিনি।
তিন ম্যাচে দুটি জিতে সুপার এইটে এক পা দিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ তারা খেলবে নেপালের বিপক্ষে।
চার পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে বাংলাদেশ। ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেদারল্যান্ডস। সোমবার তারা শেষ ম্যাচ খেলবে বিদায় নিশ্চিত হওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। একই দিন বাংলাদেশ খেলবে নেপালের বিপক্ষে, জিতলেই সুপার এইটে উঠে যাবে। নেপালের কাছে তারা হারলেও নেদারল্যান্ডস যদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে না পারে, সেক্ষেত্রেও বাংলাদেশ চলে যাবে পরের পর্বে। তবে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ হেরে গেলে এবং নেদারল্যান্ডস লঙ্কানদের হারালে দুই দলের পয়েন্ট সমান হবে, সেক্ষেত্রে নেট রান রেটে নির্ধারণ হবে কে যাবে সুপার এইটে।
পূর্বকোণ/এএইচ