অবিশ্বাস্য আর অপ্রত্যাশিত বললেও হয়তো কম হয়ে যাবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সি গ্রুপ থেকে সুপার এইটের রেসে নিউজিল্যান্ড ছিটকে যাবে- এমনটা কেউ হয়তো ভাবতেও পারেনি।
২০২১ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের সেমিফাইনালেও দেখছিলেন অনেকেই। কিন্তু টানা দুই হারে নিউজিল্যান্ডের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
কিউইরা সুপার এইটে যেতে হলে মেলাতে হবে অবিশ্বাস্য সব সমীকরণ। আফগানিস্তানকে হারতে হবে বাকি দুই ম্যাচেই। যেখানে এক প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি। কখনও বিশ্বকাপে জয় না পাওয়া দলটি আফগানদের হারাবে- এমনটা প্রায় অসম্ভবই বটে।
সবমিলিয়ে উইন্ডিজের কাছে হারে বিদায় নিশ্চিত। আর ৬ পয়েন্ট নিশ্চিত করে সুপার এইটে নাম লিখিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ১৩ রানের জয়ে সি গ্রুপ থেকে প্রথম সুপার এইট নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৫০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় রান ১০০ পেরুবার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। তবুও স্বপ্নটা বেঁচে ছিল গ্লেন ফিলিপসের কল্যাণে। কিন্তু আলজারি জোসেফের বলেই ফিরতে হয় তাকে। সেখানেই শেষ হয় কিউইদের আশা।
নিউজিল্যান্ডের বিপর্যয়ের শুরুটা হয় ডেভন কনওয়ের উইকেট দিয়ে। আকিল হোসেইনের বলে রস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আলজারি জোসেফের দিনের প্রথম শিকার আরেক ওপেনার ফিন এলেন। ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন।
রাচিন রবীন্দ্রও আশা জাগাতে পারেননি। ১৩ বলে ১০ করে ফেরেন তিনি। এর আগে ২ বলে ১ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কেন উইলিয়ামসন।
গত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ড্যারিল মিচেল হতাশ করেছেন এদিন। ১৩ বলে ১২ রান করে গুড়াকেশ মোতির বলে বোল্ড হন তিনি। জিমি নিশাম এবং গ্লেন ফিলিপস খানিকটা আশা দেখিয়েছিলেন বড় কিছু করার। নিশাম ১০ রানে আউট হলে একা হয়ে পড়েন গ্লেন ফিলিপস। মিডলঅর্ডারের এই ব্যাটার ৩ চার আর ২ ছক্কায় করেছেন ৪০ রান।
শেষ ওভারে মিচেল স্যান্টনার তিন ছক্কা হাঁকিয়েছেন বটে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ১৩৬ রানেই থামে তাদের ইনিংস। ১৩ রানের এই হারে বিশ্বকাপের যাত্রাও প্রায় শেষের দিকে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানে ৫ উইকেট আর ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর শেষ দুই ওভারে শেরফেইন রাদারফোর্ডের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান, উইন্ডিজের স্কোর যায় ১৪৯ পর্যন্ত। রাদারফোর্ড ৩৯ বলে করলেন ৬৮ রান।
পূর্বকোণ/মাহমুদ