১২ রানের মধ্যেই আউট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সারির চার ব্যাটার। নেদারল্যান্ডসের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এভাবেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় প্রোটিয়া টপঅর্ডার।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তখন আরও একটা অঘটনের গন্ধ পাচ্ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে প্রোটিয়াদের বিপর্যয়ের মুখে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ডেভিড মিলার। তার অপরাজিত ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙর করে দল।
শনিবার (৮ জুন) রাতে নিউইয়র্কে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান সংগ্রহ করে নেদারল্যান্ডস। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। ইনিংসের প্রথম বলেই ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটের শিকার হন কুইন্টন ডি কক। কোন বল না খেলেই ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার রেজা হেন্ড্রিকসও। ১০ বল খেলে মাত্র ৩ রান করতে পেরেছেন তিনি।
তিনে নেমে ব্যর্থ এইডেন মার্করাম। ৩ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি অধিনায়ক। টপঅর্ডার ব্যাটারদের সঙ্গে ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন হেনরিখ ক্লাসেনও। ৭ বল খেলে ৪ রানে থেমেছেন এই ইনফর্ম ব্যাটার। ১২ রানে টপঅর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়েছিল দল।
তবে এমন পরিস্থিতি থেকে প্রোটিয়াদের উদ্ধার করেন ক্রিস্টিয়ান স্টাবস ও ডেভিড মিলার। দু’জনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৬৫ রান। স্টাবস ৩৭ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফিরলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কিলার মিলার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ বলে অপরাজিত ৫৯ রান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্রোটিয়া পেসারদের তোপের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস। দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফেরেন ৬ ব্যাটার। ডাচদের এমন আসা-যাওয়ার মিছিলে একমাত্র ব্যাতিক্রম ছিলেন সাইবার এঙ্গেলব্রাখট। এই অলরাউন্ডার চারে নেমে ৪৫ বলে করেছেন ৪০ রান। তাতে কোনরকমে একশ পেরোয় তাদের ইনিংস।
পূর্বকোণ/মাহমুদ