গতকাল শুরুটা ভালভাবে করতে পারেনি বাংলাদেশ। দিনের শেষ বিকেলে টপের তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ধারণা করা হয়েছিল নতুন দিনে হয়তো শুরুটা ভালভাবে হবে। কিন্তু সেটিও সম্ভব হয়নি। দুপুরের মধ্যেই ১৮৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
এর আগে সকালে নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই মাহমুদুল হাসান জয়কে তৃতীয় স্লিপে তালুবন্দি করিয়েছেন লাহিরু কুমারা। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে এজ হয়ে জয় ১২ রানে সাজঘরে ফিরেছেন। তাতে ৪৬ বলে থেমেছে জয়ের লড়াই। জয়ের বিদায়ের পর নাইটওয়াচম্যান তাইজুল অবশ্য প্রান্ত আগলে নিজের লড়াইটা অব্যাহত রেখেছেন। তাকে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন নতুন ব্যাটার শাহাদাত হোসেন। কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার ইনিংস। কুমারার দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন তিনি। ২১.৬ ওভারে লঙ্কান পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি বাড়তি বাউন্স পেয়েছিল। বল শাহাদাতের ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে প্রথম স্লিপে। তাতে ১৮ রানে থেমেছেন শাহাদাত।
তারপর লিটন-তাইজুলের ব্যাটে ভালো প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল। কিন্তু লাঞ্চের আগে লিটনকে ফিরিয়ে ৪১ রানের জুটি ভেঙে নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রেখেছে লঙ্কানরা। প্রথম সেশনের তিনটি উইকেটই নিয়েছেন কুমারা। ৩৫তম ওভারে কুমারার ভেতরে ঢুকে পড়া বলে লিটন পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছেন। বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ২৫ রানে। দ্বিতীয় দিন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিলে লড়াই করছিলেন তাইজুল। প্রথম সেশনে নাইটওয়াচম্যান হয়েও প্রান্ত আগলে খেলছিলেন তিনি। লাঞ্চ বিরতির পর সেই তাইজুলের প্রতিরোধ ভেঙেছেন কাসুন রাজিথা। রাজিথার বলে গ্লাভসবন্দি হওয়া তাইজুল অল্পের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি মিস করেছেন। এরপর ১৫ রানে শরীফুল ও ২২ রানে খালেদের বিদায়ে ১৮৮ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
পূর্বকোণ/পিআর