তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সোমবার (৪ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।
প্রথম ওভারেই ওপেনার আভিশকা ফার্নান্দোকে তুলে নিয়ে সফরকারীদের চাপে ফেলেন শরিফুল ইসলাম। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন ৪ রান করা আভিশকা।
পাওয়ার প্লে’র মধ্যে কামিন্দু মেন্ডিসকে তুলে নিয়ে লঙ্কানদের চাপ বাড়ান তাসকিন আহমেদ। মারমুখী ব্যাটিং করতে গিয়ে মিডউইকেটে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন কামিন্দু (১৯)।
৩৭ রানে দুই উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা অভয় পায় তৃতীয় উইকেটে ওপেনার কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমার জুটিতে। বাংলাদেশের বোলারদের ছাতু বানিয়ে এই দু’জন সচল রাখেন সফরকারীদের রানের চাকা। রিশাদ হোসেনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি করেন কুশল মেন্ডিস। ২৮ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন এই ওপেনার।
কম যাননি সামারাবিক্রমাও। শরিফুলের করা ইনিংসের ১৩তম ওভারে ২ চার এবং একটি ছক্কা হাঁকান। সামারাবিক্রমার তোপের মুখে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওয়াইডে পাঁচ রানও দিয়ে বসেন শরিফুল।
কুশল-সামারাবিক্রমার এমন বিধ্বংসী নাগাল টানতে পারত বাংলাদেশ। ফিফটির পর সৌম্য সরকারের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু পেছনে অনেকটা দৌড়েও সে ক্যাচ তালুতে জমাতে পারেননি উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ৫৬ রানে জীবন পাওয়া কুশল অবশ্য আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। রিশাদ হোসেনের বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে থাকা মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হওয়ার আগে আর ৩ রান যোগ করে ৫৯ পর্যন্ত পৌঁছান এই লঙ্কান ওপেনার। ৬ চারের সঙ্গে ৩ ছয়ে শোভা বেড়েছে তার ৩৬ বলে খেলা এই ইনিংসের। এর সঙ্গে ইতি ঘটে সামারাবিক্রমার সঙ্গে তার ৯৬ রানের বিস্ফোরক জুটিরও।
তবে শ্রীলঙ্কার মারকুটে ব্যাটিং সেখানে থামেনি। তাসকিন আহমেদকে এক ওভারে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে রানের জোয়ার অব্যাহত রাখেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। মুস্তাফিজকে দারুণ এক শটে সীমানাছাড়া করে অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে ব্যাট করা সামারাবিক্রমাও তুলে নেন ফিফটি।
শেষদিকে আসালাঙ্কার তাণ্ডবে লঙ্কানদের রান ছাড়িয়ে যায় দুইশর ঘর। সামারাবিক্রমার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ৭৩ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন আসালাঙ্কা। ২১ বলে ৬ ছক্কায় ৪৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন লঙ্কান অধিনায়ক, ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন সামারাবিক্রমা।
বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট পান শরিফুল, তাসকিন ও রিশাদ।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ