বিপিএলে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তামিম ইকবাল টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তামিমদের কাজ অর্ধেক এগিয়ে দিয়েছিলেন তার বোলাররাই। ১৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা পার করতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি বরিশালকে।
সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আলোচনায় ছিলেন দুজন। তবে মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। মুশফিকুর রহিম, সাইফউদ্দিনরাই গড়ে দিয়েছেন পার্থক্য। দেশি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে ভর করে প্রেস্টিজিয়াস এই লড়াইয়ে রংপুরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে গেল বরিশাল।
আগামী ১ মার্চ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ২০২১ সালের বিপিএলেও ফাইনালে ছিল এই দুই দল। সেবার জয় পেয়েছিল কুমিল্লা। এক বছর বিরতি দিয়ে আবার ফাইনালে দেখা হচ্ছে এই দুই দলের।
বুধবার বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কিছুটা একপেশে ম্যাচই খেলেছে বরিশাল। রানতাড়া করতে নেমে বিপিএলে প্রথমবার নন-স্ট্রাইকে ছিলেন তামিম। কারণটা যে ফজল হক ফারুকী তা সবারই জানা। তবে এড়িয়ে গিয়ে লাভ হয়নি। তামিম আউট হয়েছেন ১০ রান করে। আবু হায়দার রনির বলে মোহাম্মদ নবীকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
একই ওভারে কাঁটা পড়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজও। এক বলের বিরতিতে এলবিডব্লিউতে আউট তিনি। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম এবং সৌম্য সরকার খেললেন ৪৭ রানের জুটি। রংপুরের কাছ থেকে ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছে তখনই। সাবধানী ইনিংস খেলে বরিশালকে নিয়ে গিয়েছেন লক্ষ্যের আরও কাছে।
মোহাম্মদ নবী আক্রমণে এসেই সৌম্যকে ফিরিয়েছেন। ১৮ বলে ২২ রান করে ফাইনালের পথে দলকে এগিয়ে দিয়ে যান সৌম্য। মুশফিক ছন্দে ছিলেন আজ শুরু থেকেই। কাইল মায়ার্সকে নিয়ে রংপুরের নাভিশ্বাস তুলেছেন। খুব দ্রুতগতির না হলেও খেলেছেন কার্যকরী ইনিংস। অন্যদিকে বিগশট উপহার দেন মায়ার্স। ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ছিল ৩ ছয়। আউটও হয়েছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। বাউন্ডারি লাইনে হাসান মাহমুদ এবং রনি তালুকদারের বোঝাপড়ায় আউট তিনি।
মুশফিক বাকি কাজটা সেরে নিয়েছেন ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে। মুশফিক পেয়েছেন সময়োপযোগী ফিফটি। দশবছরে ৮ বার দল পালটে বিপিএল শিরোপা পাননি তিনি। এবার সেই লক্ষ্য পূরণের সুযোগটা আবার পাচ্ছেন। আর বিপিএলে পাঁচবারের টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব এবার আসর শেষ করছেন কোয়ালিফায়ার থেকেই।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ