
সেমিফাইনালে উঠতে নেট রান রেটের হিসাব মিলিয়ে পাকিস্তানকে হারানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। বেনোনিতে আজ সুপার সিক্সের এক নম্বর গ্রুপের ম্যাচে সেই হিসাবটা জেনে গেছেন বাংলাদেশের যুবারা।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাকিস্তানের যুবাদের ৪০.৪ ওভারে অলআউট করেছে ১৫৫ রানে। ১৫৬ রানের লক্ষ্যটা ৩৮.১ ওভারের মধ্যে ছুঁতে পারলেই পাকিস্তানকে বিদায় করে সেমিফাইনালে উঠে যাবে বাংলাদেশ।
তবে দুদলের স্কোর সমান হয়ে যাওয়ার পর ছক্কা মেরে জিতলে ৩৯.২ ওভার খেললেও চলবে বাংলাদেশের। আর স্কোর সমান হলে চার মেরে জয়ের ক্ষেত্রে হিসাবটা ৩৯ ওভারের।
পাকিস্তানের শুরুটা খারাপ ছিল না। শামিল হুসেন ও শাহজাইব খানের উদ্বোধনী জুটি ৮.৩ ওভারেই তুলে ফেলে ৩৭ রান। নবম ওভারের চতুর্থ বলটিতে মিডিয়াম পেসার রোহানাত দৌল্লাহ শামিলকে বোল্ড করতেই খুলে যায় উইকেটের দরজা। নিজের পরের ওভারেই তিনে নামা আজান আওয়াইসকে উইকেটকিপার আশিকুর রহমানের ক্যাচ বানান রোহানাত। ১৭তম ওভারে পাকিস্তানের অধিনায়ক সাদ বেগ যখন রানআউট হলেন দলটির স্কোর ৬৬/৩।
এরপর রান তুলতে হাঁসফাঁস করেছে পাকিস্তানিরা। ওপেনার শাহজাইব ২৪তম ওভারে অফ স্পিনার শেখ পারভেজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে যখন ফেরেন ২৩.৪ ওভারে দলটির রান ৪ উইকেট ৭৬। ৬৭ বলে ২৬ রান করেন শাহজাইব।
পাকিস্তানের রান ৮৯ হতেই নেই আরও ২ উইকেট। আহমেদ হাসানকে আশিকুরের তৃতীয় শিকার বানিয়ে নিজেও তৃতীয় উইকেট পেয়ে যান রোহানাত। পারভেজ এরপর ফিরিয়ে দেন হারুন আরশাদকে।
পাকিস্তানের ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটা হয় এরপরই। সপ্তম উইকেটে ৪৩ রান যোগ করেন আরাফাত মিনহাস ও আলী আসফান্দ। ৩৬তম ওভারে আসফান্দকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পারভেজ। পরের ওভারে উবায়েদ শাহকে বোল্ড করে চতুর্থ উইকেট পেয়ে যান পারভেজ। রোহানাতও নিজের চতুর্থ উইকেট নিতে দেরি করেননি। ৪০তম ওভারে মোহাম্মদ জিশানকে বোল্ড করে এই মিডিয়াম পেসার। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে আরফাত স্টাম্পড হতেই শেষ পাকিস্তানের ইনিংস।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ