স্পিন দিয়ে ইনিংস শুরু করেছিল বাংলাদেশ। শান্তর এমন সিদ্ধান্তে কেউ কেউ হয়তো অবাকই হয়েছেন। তবে চতুর্থ বলে উইকেট শিকার করে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন মেহেদি। পরের ওভারে আক্রমণে এসে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন শরিফুল। তার গতি আর সুইংয়ে পুড়েছে কিউই টপ অর্ডার।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড যখন বিপাকে, তখন কিছুক্ষণ লড়াই চালান ড্যারিল মিচেল। তবে চতুর্থ ওভারে মাহেদির দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। বিদায় নেন ১৪ রান করে। বেশ কিছুক্ষণ থিতু হওয়ার পর উইকেট হারান মার্ক চ্যাপমানও। রিশাদের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিমের তালুবন্দি হন এই ব্যাটার। ফেরেন ১৯ রান করে।
পাঁচ উইকেট হারানে নিউজিল্যান্ডকে পথ দেখাচ্ছেন নিশাম। মিচেল স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৪১ রানের জুটি। পঞ্চদশ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে স্যান্টনারকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন শরিফুল। তার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্যর তালুবন্দি হন কিউই ব্যাটার। যদিও আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। তবে রিভিউয়ের পর থার্ড আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন। স্যান্টনার বিদায় নেন ২৩ রান করে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৯২ রান।
এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত।
লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই উইকেট তুলে নিলেন মাহেদি। অফসাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাট বাড়ালেও বল সেটি স্পর্শ না করেই আঘাত হানে স্টাম্পে। ডাক মেরেই ফিরতে হয় টিম সেইফার্টকে।
পরের ওভারে বল করতে এসে বাজিমাত করেন শরিফুল। দ্বিতীয় বলে ফেরান ফিন অ্যালেনকে। মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন কিউই ওপেনার। পরের বলেই উইকেট বিলিয়ে দেন ব্যাট করতে নামা গ্লেন ফিলিপস। শুরুতে শরিফুলের আবেদনে এলবিডব্লিউ উইকেট না দিলেও পরে রিভিউ নেন শান্ত। তাতে দেখা যায় বল সরাসরি আঘাত হানে স্টাম্পে।
পূর্বকোণ/পিআর