চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

দক্ষিণ আফ্রিকার ‘শূন্য’র অবসান হোক এবার

নিখিল রঞ্জন দাশ

১৬ নভেম্বর, ২০২৩ | ১:১৬ অপরাহ্ণ

আজ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ এর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি। দুটি দলই লিগ পর্বে ৭টি করে ম্যাচ জিতেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি পরাজয় নেদারল্যান্ডস ও ভারতের বিপক্ষে আর অস্ট্রেলিয়ার দুটি পরাজয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের সাথে।

 

১৯৮৭ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু গত ছয় আসরে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন যে ফলাফল সেটাও ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় আর ২০১৯ সালে বিদায় নিয়েছিল সেমিফাইনাল থেকে।

 

বিশ্বকাপ মানেই দক্ষিণ আফ্রিকার করুণ সব গল্প। ১৯৯২ সালে শুরুর পর আটটি বিশ্বকাপ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সর্বোচ্চ পাওনা সেমিফাইনাল আর হারগুলিও মর্মান্তিক- বৃষ্টি আসরে ১৯৯২ তে ১ বলে ২২ রানের সমীকরণ আর ১৯৯৯ সালে ‘টাই’- ক্লুজনার আর ডোনাল্ডের সেই ‘দৌঁড়’ নিয়ে আজও চায়ের কাপে ঝড় ওঠে। তাই বিশ্বকাপে দলটির প্রাপ্তি এখনও ‘শূন্য’।

 

তবে এবারে দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি অনেক সংঘটিত। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং তাদের অন্যতম শক্তি। কুইন্টন ডি কক, হেনরিখ ক্লাসেন, রাসি ফন ডার ডুসেন, মার্করাম, ডেভিড মিলাররা পরীক্ষিত নাম। টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে এই দলের সাতজন এই প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলছেন। তাই অভিজ্ঞতার অভাব দলটিকে ভোগাতে পারে। পেস বোলিংয়ে কাগিসো রাবাদার নেতৃত্বে লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো ইয়াজসেন, জেরাল্ড কোয়েৎজি এই পর্যন্ত তাদের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। স্পিন বোলিংয়ে পেসার মহারাজের সঙ্গে ‘চায়না ম্যান’ তাবরেজ সামসি বেশ কার্যকর। তাই ‘চোকার’ তকমাটা তারা এবার ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া হয়ে খেলবেন।

 

সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই এটা তাদের ‘হেক্সা’ মিশন। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে এই দলটিতে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারের মত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। তবে পরিসংখ্যান বিচারে দলের সবচেয়ে বড় তারকা স্টিভেন স্মিথ। ট্রাভিস হেড, মারনাস লাবুসানে, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মত ব্যাটারটা যে কারও বিরুদ্ধে জ¦লে উঠতে পারেন। বোলিংয়ে মিচেল স্টার্কের সঙ্গে থাকবেন জশ হ্যাজেলউড, মার্ক স্টয়নিস ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। স্পিনে অ্যাডাম জাম্পা তাদের তুরুপের তাস।

 

লিগ পর্বে দুটি দলই তাদের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে- তাই শক্তিমত্তার বিচারে আমরা বলতে পারি- সম্ভাবনা দুদলেরই। তবে অস্ট্রেলিয়ার বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাদেরকে এগিয়ে রাখবে। তবুও সবার কামনা এবার দক্ষিণ আফ্রিকার ‘শূন্য’র অবসান হোক।

 

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট