শেষ হয়ে গেল বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ এর লিগ পর্ব। এবার সেমিফাইনাল অর্থাৎ নক-আউট পর্ব। নয় ম্যাচে নয়টি জয় নিয়ে ভারত শীর্ষে খেলবে চতুর্থ স্থান দখলকারী নিউজিল্যান্ডের সাথে আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া পরস্পরের মুখোমুখি হবে।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের কাছে দর্শক-সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। তাই লিগ তালিকায় অষ্টম স্থানে থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত করলেও দলে যে ভাঙন ধরেছে সেটা এখন সবার চোখের সামনে। শুরুটা যদি তামিম ইকবাল ‘এপিসোড’ দিয়ে করি তাহলে শেষ করতে হবে সাকিব আল হাসান ‘ড্রামা’ দিয়ে। আর এই নাটকের পরিচালক হবেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহ। অনেকে দ্বিমত হতেই পারেন- কিন্তু বিশ্লেষণ করলে বুঝবেন এটা কিন্তু অত্যুক্তি নয়। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রথম এপিসোড দলের মনোবলে চিড় ধরিয়েছিল আর তার ফলশ্রুতিতে দলের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ওপেনিং জুটির সমস্যা। এরপর আসে ব্যাটিং পজিশন নিয়ে কোচের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। যার ফলে ব্যাটারদের মনোযোগ এবং মানসিকতা দুটোই নষ্ট হয়ে যায়। এরপর অধিনায়কের ফর্ম হারানোর নাটক। সবকিছু উপেক্ষা করে নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে টিম থেকে নিজের পছন্দের কোচের কাছে ছুটে আসা। যদিও বা প্রধান কোচ দলের সাথেই ছিলেন- আর তাই কোচের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। আর কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দিয়ে ১৪৬ বছরের ইতিহাসে নাম লেখান ‘টাইমড আউটে’। সঙ্গে ইনজুরির দোহাই দিয়ে দলত্যাগ করে ঘরে ফিরে আসা। আমাদের প্রত্যাশার এটাই কি প্রাপ্তি ছিল? তাই ক্রিকেট আমোদীদের একটাই চাওয়া- আমাদের ক্রিকেটের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ নতুন করে সাজাতে হবে। কেননা ক্রিকেট এখন এ দেশের মানুষের জীবনবোধ। অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর দলের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব পাকিস্তান দলকে এবার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে নিয়েছে।
আমরা শ্রীলঙ্কাকে নিয়েও এমন মন্তব্য করতে পারি। যেটা তাদের আইসিসি সদস্যপদ বাতিল হওয়ার পেছনের অন্যতম কারণ। লিগ তালিকার শেষে যে দলটা রয়েছে তা হলো নেদারল্যান্ডস। প্রথমবার এসেই চমক সৃষ্টি করে। দলটি সবার মন জয় করে নিয়েছে- তাই মনে হয় দলটি লম্বা রেসের ঘোড়া ভবিষ্যতের জন্য।
পূর্বকোণ/আরডি