এবারের বিশ্বকাপের লিগ পর্ব শেষ হলো। অনেক আশা নিরাশার দোলাচলে যে চারটি দল নকআউট পর্বের সেমিফাইনালে পরস্পরের বিপক্ষে খেলবে তারা হলো ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তাই দর্শক-সমর্থকদের এখন একটাই চিন্তা, কার কাছে ধরা দেবে সোনার হরিণ, কার হাতে উঠবে সোনার কাপ।
ভারত এবার লিগ পর্বে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। দলটি প্রথমবার বিশ্বকাপ জয় করে ১৯৮৩-তে আর দ্বিতীয় বিশ্বকাপের জয়ের জন্য অপেক্ষা করেছিল ২৮ বছর। কাকতালীয়ভাবে ভারত ২০১১-তে বিশ্বকাপ জয় করেছে স্বাগতিক দেশ হিসেবে। তাই এবারও তারা চাইবে এর পুনরাবৃত্তি।
৮ বার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাপ্তির ঘর ‘শূন্য’। তবে এবারের দলটি অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ। তাই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরাজয়ের পরও তারা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের দিক দিয়ে অসাধারণ কিছু খেলোয়াড় রয়েছে। কুইন্টন ডি কক, ডেভিড মিলার, ভ্যানডার, ডুসেন তাদের ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পেস এবং স্পিনে তারা বেশ সমৃদ্ধ। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা চাইবে এবারে ‘শূন্য’র অবসান ঘটাতে আর ‘চোকার’ তকমাটা ঝেড়ে ফেলতে।
অস্ট্রেলিয়া ১২ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে পাঁচটি ট্রফি তাদের ঘরে তুলেছে। তবে প্রথম ম্যাচে ভারত ও তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয় সবাইকে হতাশ করেছিল। তবে দলটি দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং শিরোপার অন্যতম দাবিদার। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, মিচেল মার্শ ব্যাটিংয়ে যেকোন দলের মাথাব্যথার কারণ আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দানবীয় ইনিংস এখনও সবার সামনে। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কের পেস আক্রমণের সঙ্গে অ্যাডাম জাম্পার স্পিন তাদের অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে।
নিউজিল্যান্ড এ পর্যন্ত ১২টি বিশ্বকাপ খেলেছে। কিন্তু এখনও শিরোপা ‘অধরা’ রয়ে গেছে। ২০১৫, ২০১৯ দুবারই ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু জানি না কেন, দলটি চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছেও শীর্ষে উঠতে পারে না। তবে কেইন উইলিয়ামসনের এই দলটি অনেক ভারসাম্যপূর্ণ। অভিজ্ঞ উইলিয়ামসন ছাড়া তাদের ব্যাটিং মোটামুটি তারুণ্য নির্ভর। অনেকের আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। পেস আক্রমণে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গে ফার্গুসন রয়েছেন। আর স্পিনে ঈশ সৌধি ও স্যান্টনার সমীহ আদায় করে নেবেন। তবে ভারতের বিপক্ষে তাঁরা শেষ মশালটা জ¦ালাতে পারবেন কিনা সবাই উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছেন।
পূর্বকোণ/আরডি