অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ‘টাইমড আউট’ হওয়া নিয়ে বিতর্ক-যুদ্ধ যেন থামছেই না। এই ঘটনায় সাবেকরাও অবস্থান নিয়েছেন দুই পক্ষে। বিতর্কে পেছনে পড়ে থাকতে চায়নি ম্যাথুসের পরিবারও। তাঁর পরিবার চায় না বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কায় আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ কিংবা লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলুক।
পেশাদারি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় এলে সাকিবকে পাথর মারার রীতিমতো হুমকি দিয়ে রেখেছেন ম্যাথুসের ভাই ট্রেভিন ম্যাথুস। ট্রেভিনও ক্লাব পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকলকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা খুবই হতাশ। বাংলাদেশের অধিনায়কের কোনো ক্রীড়ানুরাগী মনোভাব নেই এবং ভদ্রলোকের খেলায় মানবতা দেখাননি (সাকিব)। আমরা কখনোই তার কাছ থেকে বা দলের বাকি সদস্যদের কাছে এটা আশা করিনি।’
সাকিবকে একরকম হুমকি দিয়ে ট্রেভিন বলেছেন, ‘সাকিবকে শ্রীলঙ্কায় স্বাগত জানানো হবে না। যদি সে এখানে কোনো আন্তর্জাতিক বা এলপিএল ম্যাচ খেলতে আসে, তাহলে তাকে পাথর ছুড়ে মারা হবে কিংবা ভক্তদের অসন্তোষের মুখে পড়তে হবে।’
হেলমেটের ফিতা ছেঁড়া হওয়ায় ক্রিজে ঠিক সময়ে মাঠে নেমেও বলের মুখোমুখি হতে পারেননি ম্যাথুস। আইসিসির বেঁধে দেওয়া ২ মিনিট সময়ের মধ্যে প্রথম বলটা খেলতে পারেননি এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এরপরই টাইমড আউটের আবেদন করেছিলেন সাকিব। ট্রেভিনের মতে, এখানে দোষ ছিল না তার ভাইয়ের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বললেন,‘অ্যাঞ্জেলো নির্ধারিত সময়ে তার ক্রিজের মধ্যে ছিল, তবে হেলমেটের স্ট্র্যাপ ভেঙে যাওয়া, এটি তার দোষ ছিল না।’
তবে নিয়মে থাকায় আম্পায়াররা এই আউটে কোনো প্রশ্ন দেখছেন না। সেই বিতর্কিত আউটের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার বলেছেন, ‘আমি বলতে চাই আইসিসি ও এমসিসির আইন অনুযায়ী, একজন ব্যাটার আউট হলে কিংবা আহত-অবসর হলে দুই মিনিটের মধ্যে পরের ব্যাটারকে উইকেটে এসে বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। টিভি আম্পায়ার সময় পর্যবেক্ষণ করবেন এবং মাঠের আম্পায়ারের নজরে আনবেন। এখানে যেটা হয়েছে, হেলমেটের স্ট্র্যাপের বিষয়টি আসার আগে ব্যাটার উইকেটে আসতে দুই মিনিটের বেশি সময় নিয়েছেন। আইন অনুযায়ী, ফিল্ডিং অধিনায়ক মাঠের আম্পায়ারের কাছে বলেছেন যে তিনি আবেদন করতে চান।’
পূর্বকোণ/এসি