আজ অস্ট্রেলিয়া আর আফগানিস্তান সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য মুখোমুখি হচ্ছে।
১০ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অবস্থান তালিকার ৩ নম্বরে। আর আফগানিস্তান রয়েছে ছয়ে। ৭ মাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট এবং নেট রানরেটের হিসেবে সমান সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান এগিয়ে। কাজেই শুধু জয় নয়, অস্ট্রেলিয়াকে টপকাতে হলে তাদের রানরেটের দিকে নজর দিতে হবে এবং বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করতে হবে।
আজকের পরে দু’দলেরই একটি করে ম্যাচ থাকবে। আফগানরা খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে আর অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সাথে। তাই সমীকরণটা আফগান দলের পক্ষে কিছুটা দুরূহ। ক্রিকেটের অনিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখেও বলতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা এগিয়ে।
আফগান দলের বড় শক্তি স্পিন আক্রমণ। আর স্পিনারদের বড় শক্তি তাদের বৈচিত্র্য। মুজিবুর রহমান অফস্পিনার হয়েও টপস্পিন, আর্ম-বল ছাড়াও ক্যারম বলে সমান পারদর্শিতার কারণে বেশ কার্যকর। রশিদ খান বিশে^র অন্যতম স্বীকৃত স্পিনার। এছাড়াও মুহাম্মদ নবী ও নবাগত নুর আহমেদ ভালো সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। পেস আক্রমণে ফজল ফারুকি, নবিন-উল-হক ভালো সূচনা এনে দিচ্ছেন। ব্যাটিংয়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজ তাদের ট্রাম্পকার্ড। অধিনায়ক ও মিডল অর্ডার দলের ব্যাটিংয়ে গভীরতা এনে দিয়েছে।
শুরুতে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পরাজয়ে অস্ট্রেলিয়া দলের ‘হেক্সা মিশন’ সটকে দাঁড়িয়েছিল। তবে এরপর ক্রমাগত জয়ে তারা এখন সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে। অস্ট্রেলিয়া দলের সব চাইতে বড় শক্তি হলো তাদের ‘প্রফেশনালিজম’। আমার ধারণায় দলটি বেশ ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল। তাই সমীহ না থাকার কোন কারণ নেই। তাদের ব্যাটিং লাইনআপ যথেষ্ট সমৃদ্ধ আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ইনজুরি থেকে ফিরে এলে তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে। মিশেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, হ্যাজেল উড পেস আক্রমণে আগ্রাসী ভূমিকা বজায় রাখবেন। এডাম জাম্পার স্পিন জাদু সামলাতে হলে আফগানদের অসাধারণ দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হবে।
কাকতালীয়ভাবে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিশ্বকাপ জয় ভারতে, আর এবারের তাদের হেক্সা মিশনের জায়গাটাও ভারত। তাই যেখান থেকে তাদের বিশ্বকাপের জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল সেখানেই এবারের ‘হেক্সা’ জয়ের চ্যালেঞ্জ তাদের, যদি আফগানিস্তানের ‘তুষের আগুন’ তাদের পুড়িয়ে না দেয়।
পূর্বকোণ/আরডি