শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের দেওয়া ২৭১ রানে তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটে জিতেছে সাউথ আফ্রিকা।এ নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ পঞ্চম জয় তুলে নিল প্রোটিয়ারা।
শুক্রবার ২৭১ রানের লক্ষ্য দিয়েও পাকিস্তান শুরু থেকে লড়াই করেছে। পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক (২৪) ও টেম্বা বাভুমাকে (২৪) ফেরায় তারা ৬৭ রানের মধ্যে। রাসি ফন ডার ডুসেনকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান এইডেন মারক্রাম। দুজনের ৫৪ রানের জুটি ভাঙেন উসামা মীর। ১৫তম ওভারে শাদাব খানের বদলি নামেন তিনি। ওয়ানডে বিশ্বাকপ ইতিহাসে প্রথম কনকাশন সাব হয়ে দারুণ ব্রেকথ্রু আনেন ফন ডার ডুসেনকে এলবিডব্লিউ করে। প্রোটিয়া ব্যাটার রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি।
মারক্রাম বেশিক্ষণ হাইনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গ পাননি। ক্লাসেনকে ১২ রানে উসামার ক্যাচ বানান মোহাম্মদ ওয়াসিম। ১৩৬ রানে চার উইকেট হারালেও মারক্রাম ও ডেভিড মিলারের জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয়।
শাহীন শাহ আফ্রিদির বল মিলারের (২৯) ব্যাটে নিক করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে জমা হয়। ৭০ রানের এই জুটি ভেঙে যেন স্বস্তি ফিরে পায় পাকিস্তান। তবে চলতি বিশ্বকাপে চতুর্থবার পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলা মারক্রাম পাকিস্তানের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান। তাকে সরানোর জন্যে মরিয়া ছিলেন বোলাররা। শেষ পর্যন্ত তাদের অপেক্ষার অবসান হয় ডেথ ওভারে।
তার আগে মার্কো ইয়ানসেনকে (২০) থামান হারিস রউফ। উসামা আনেন বড় ব্রেকথ্রু। পেছনে কভার পয়েন্টের দিকে দৌড়ে মারক্রামের ক্যাচ চমৎকারভাবে ধরেন বাবর। ৯১ রানে থামেন প্রোটিয়া ব্যাটার। পরের ওভারেই জেরাল্ড কোয়েটজেকে (১০) রিজওয়ানের ক্যাচ বানান আফ্রিদি। ২৫০ রানে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায় পাকিস্তান।
লুঙ্গি এনগিডি ও কেশব মহারাজ সতর্ক ব্যাটিংয়ে লক্ষ্য কমাতে থাকেন। এনগিডির ডিফেন্সিভ শট সামনে ঝাঁপিয়ে বাঁ হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন হারিস রউফ। তখনও জয়ের জন্য ১১ রান দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার, আর পাকিস্তানের চাই ১ উইকেট। পাকিস্তানি পেসারের শেষ বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় পাকিস্তান। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান তাবরাইজ শামসি। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মাথায় হাত।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ