বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টানা হারের পর এই ম্যাচে জিতে জয়ের ধারায় ফিরতে চায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে।
টস
ম্যাচ টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক অ্যাইডেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রণে বোলিং করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের লক্ষ্য জয়
আসরে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর খেই হারিয়ে ফেলে সাকিবের দল। তবে সেসব ঝেড়ে নতুন শুরু করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিবের চাওয়া একটা মোমেন্টাম, ‘আমাদের অনেক ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচ জিতেছে। ওরা অনেক ভালো অবস্থায় আছে। এর মানে এটাই না যে সব শেষ। ৫ ম্যাচ বাকি আছে। এখানে জিততে পারলে ভালো মোমেন্টাম আসবে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘শাস্তি’ পেতে চান না মার্করাম
ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিশ্চিতভাবেই ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে মাঠে নামার আগেই নিজেদের জয়ী ভেবে নিতে রাজি নন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান অ্যাইডেন মার্করাম। তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপে এ যে কোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। আর এটা না মেনে নিজেদের ফেভারিট ভেবে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেই পেতে হতে পারে শাস্তি।
মার্করাম বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না আপনি কখনো বলতে পারেন যে কোনো দলের সঙ্গে খেলার এটাই সঠিক সময়। আমরা সবাই দেখেছি যে নির্দিষ্ট দিনে এই বিশ্বকাপে যে কোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। যদি এই বিষয়টা না মানেন, আমার মনে হয় ক্রিকেট আপনাকে এর শাস্তি দিতে পারে।’
পরিসংখ্যান স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে
এই ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ের আশা দেখতেই পারে। কেননা বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি লড়াইয়ে যে দক্ষিণ আফ্রিকার সমানে সমান বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মোট চারবার বিশ্বকাপে একে অন্যকে মোকাবেলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। তাতে দুই দলই সমান ২টি করে জয় পেয়েছে। বাংলাদেশ জিতেছিল ২০০৭ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে। বিপরীতে ২০০৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছিল প্রোটিয়ারা।
তবে সব মিলিয়ে এগিয়ে আছে প্রোটিয়ারাই। একদিনের ক্রিকেটে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ থেকে যোজন যোজন এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দল এখন পর্যন্ত ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ১৮ ম্যাচে, বাংলাদেশ জিতেছে ৬টি। কোনো ম্যাচ পরিত্যক্ত কিংবা বাতিল হয়নি।
বাংলাদেশের জন্য সুখস্মৃতি হিসেবে ফিরে আসতে পারে দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সবশেষ ওয়ানডে সিরিজও। যে সিরিজে গেল বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই তাদেরককে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল লাল-সবুজের দল। এবার বিশ্বমঞ্চেও এটা পুনরাবৃত্তির পালা। তার উপর অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকছে নেদারল্যান্ডসও। এবার শুধু একটা মোমেন্টাম পাবার পালা।
পূর্বকোণ/এএইচ