ইংল্যান্ড টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে বিপদে পড়েছিল। আফগানিস্তানের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাট তাদের অস্বস্তিতে রেখেছিল। তবে প্রথম জুটি ভাঙতেই ছন্দ হারায়। শেষ দিকে ইকরাম আলখিলের ফিফটি এবং রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের ক্যামিওতে ২৮৪ রান করে আফগানরা। অথচ শুরুটা দেখে তিনশ রানের প্রত্যাশা উঁকি দিয়েছিল তাদের মনে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ইংল্যান্ডের ওপর চাপ তৈরি করতে চেয়েছিল। শুরুতে তারা সফল বলা চলে। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে ৬.৩ ওভারে ৫০ রান তুলে ফেলে তারা।
একই মানসিকতায় স্কোর একশতে নিয়েছেন দুই ওপেনার। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে আফগানিস্তানের সেঞ্চুরি হয়। ৩৩ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন গুরবাজ। ১৭তম ওভারে এই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফেরায় ইংল্যান্ড। ইব্রাহিমকে ২৮ রানে জো রুটের ক্যাচ বানান আদিল রশিদ। ইংলিশ এই স্পিনারের পরের ওভারে আরও দুই ব্যাটার পরপর প্যাভিলিয়নে ফেরেন। রহমত শাহ ক্যাচ দেন জস বাটলারকে। ৫৭ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে ৮০ রান করে রানআউট হন গুরবাজ। পরে ইকরাম আলখিল ছাড়া অন্য ব্যাটাররা বড় কোনও অবদান রাখতে পারেননি।
দুইশর আগে ছয় উইকেট হারানো আফগানিস্তানকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দিতে ৬৬ বলে ৫৮ রান করেন আলখিল। সপ্তম উইকেটে ৪৩ রানের জুটিতে তার সঙ্গে দারুণ অবদান রাখেন রশিদ খান, তিন চারে করেন ২৩ রান।
শেষ দিকে মুজিব উর রহমানের সঙ্গে আল খিলের জুটিতে স্কোর আড়াইশ ছাড়ায়। মুজিবের ক্যামিও ইনিংসে তিনশর হাতছানি পাচ্ছিল আফগানরা। ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৮ রান করে ৪৯তম ওভারে থামেন তিনি।
ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে নাভিন উল হককে রানআউট করে আফগানিস্তানকে গুটিয়ে দেন জস বাটলার। সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার রশিদ। মার্ক উড পান দুটি উইকেট।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ