অনেক জল্পনা কল্পনা ও ‘যদি’ ‘কিন্তু’র অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তান এবারের বিশ^কাপে অংশগ্রহণ করছে এবং আজকে তাদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামছে। পাকিস্তান দলের পেছনে আমরা একটা তকমা প্রায়ই দেখি-আনপ্রেডিক্টেবল। তবে এবারের দলটি নিঃসন্দেহে শক্তিশালী। বাবর আজম, মো. রিজওয়ানের উপর ব্যাটিং নির্ভরশীল হলেও শুরুতে ফখরুজ্জামান ও ইমামুল হক যদি উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারেন এবং তিন নম্বরে বাবর আজম জ¦লে উঠতে পারলে পাকিস্তান দলকে সামাল দেয়া কোন দলের পক্ষে সম্ভব হবে না। মিডল অর্ডার সেই তুলনায় টপ অর্ডারের সাথে পাল্লা দিতে পারছে না। তাই ইফতিখার আহমেদের উপর দায়িত্ব থাকবে অনেক বেশি।
পাকিস্তানের পেস আক্রমণ তাদের প্রধান শক্তি। যদিও নাসিম শাহ’র চোটের কারণে তা এই মুহূর্তে কিছুটা দুর্বল। তবে শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলি এবং নবাগত মো. ওয়াসিম যে কোন ব্যাটিংয়ে ধস নামাতে পারেন। স্পিনারদের মধ্যে শাদাব খান, মোহাম্মদ নেওয়াজ আর উসামা মীর সমীহ আদায় করে নেবে। তবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত চমক সৃষ্টি করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
অনেকেই বলেছেন নেদারল্যান্ডস এই বিশ^কাপের ‘ডাকহর্স’। কেননা তাদের রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় এবং ২০২২ সালে পাকিস্তান সফরে বড়সড় চমক। যদিও বড় দলের সাথে খেলার অভিজ্ঞতা ডাচদের নেই, তবুও দলে এমন ক’জন খেলোয়াড় রয়েছে যারা যে কোন সময় খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। ম্যাক্স ও’দাউদ এবং বিক্রমজিৎ সিংয়ের উদ্বোধনী জুটি বেশ কার্যকরী। বোলিংয়ে বাস ডি লিড তাদের প্রধান ভরসা। আবার অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যাটিংয়েও তিনি সমান পারদর্শী।
নেদারল্যান্ডসকে হেলাফেলা করে হালকা দল ভাবলে, হয়ত ক্ষতিটা হয়ে যাবে বড় দলগুলোরই। কে ভাবতে পেরেছিল ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বাইরেও সহযোগী দেশ থেকে নেদারল্যান্ডস বিশ^কাপে সুযোগ করে নেবে। শুধুমাত্র ‘জায়েন্ট কিলার’ নাম না কিনে নিজেদের পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের চেষ্টা করতে হবে। যদিও অনেক বড়সড় বাধা তাদের সামনে থাকবে। পরিশ্রম এবং সততা একদিন তাদের সেই পর্যায়ে নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
পূর্বকোণ/এসি