চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় হার

ক্রীড়া ডেস্ক

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৯:১১ অপরাহ্ণ

বিশ্বকাপ যাত্রার আগে আরও একবার ফুটে উঠলো বাংলাদেশের ব্যাটিং দৈন্যতা। আপন আঙিনায় টানা দুই ম্যাচ তারা দুইশ রানও করতে পারল না। নিউ জিল্যান্ডের কাছে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা।

 

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩৪.৩ ওভারে স্রেফ ১৭২ রানে গুটিয়ে যায়। ৯১ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা।

 

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও সহ-অধিনায়ক লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেন নামজুল হোসেন শান্ত।

 

সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ৮৬ রানে। ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশের মাটিতে সিরিজ জিতল কিউইরা। ২০১০ সালে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এবং ২০১৩ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয় ব্ল্যাক ক্যাপ বাহিনী।

 

ব্যাট হাতে একাই লড়েছেন শান্ত। করেছেন সর্বোচ্চ ৭৬ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান মাহমুদউল্লাহর।

 

অ্যাডাম মিলনে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুটি করে নেন ট্রেন্ট বোল্ড ও কোল ম্যাকনকি। দ্বিতীয় ম্যাচে একাই ৬ উইকেট নেওয়া ইশ সোদি এদিন ৬ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। ৩৪.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

 

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৬তম ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলো নাজমুল হোসেন শান্তর। ম্যাচে অভিষেকে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ফিফটি করলেন এই টপ অর্ডার। তবে একটি জায়গায় ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের ইসিংস খেললেন শান্ত।

 

ইনিংসে ফিফটি জুটি কেবল একটি। ৩৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ৫৯ বলে ৫৩ রান যোগ করেন শান্ত। পানি পানের বিরতি থেকে ফিরেই নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক ফর্গুসনের আঘাত। ফর্গুসনের লাফিয়ে ওঠা বল ব্যাটে লেগে স্টাম্পের উপর পড়ে। চেষ্টা করেও বল আটকাতে পারেননি মুশফিক। আউট হন ২৫ বলে ২ ছক্কায় ১৮ রান করে।

 

এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রানের জুটিতে মাহমুদউল্লাহকে পেয়েছিলেন শান্ত। বোলিংয়ে ফিরেই উইকেট তুলে নেন মিলনে। কট বিহাইন্ড হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ।

 

দলকে একাই টানছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি মেহেদি হাসানও। বোল্টের বলে কট বিহাইন্ড হন মেহেদী। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ওয়ানডাউনে নামা শান্ত। ম্যাকনকির বলে এলবিডব্লিউ হন অধিনায়ক। এর আগে ৮৪ বলে ১০ চারে করেন ৭৬ রান। বাংলাদেশ শেষ ৪ উইকেট হারায় ৩ রানে।

 

ম্যাচ শুরুর নির্ধারিত সময়ের ঠিক দুই-এক মিনিট আগে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে ঢেকে দেওয়া হয় পিচ। ২০ মিনিট পর শুরু হয় খেলা। নতুন বলে প্রথম আঘাত হানেন মিলনে। অভিষিক্ত জাকির হোসেনকে দ্বিতীয় ওভারেই ইনসাইড এজ বোল্ড করে দেন সিরিজে প্রথম সুযোগ পাওয়া এই পেসার।

 

পরের ওভারের প্রথম বলে তানজিদ হাসানকে স্লিপে ক্যাচ বানান বোল্ট। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশে বোল্টের প্রথম উইকেট এটি। শুরুর এই ধাক্কা সামলে উঠার আগেই আবারও মিলনের আঘাত। ডাউন দা উইকেটে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন তাওহিদ হৃদয়।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট