এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি। তবে, ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দলের। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে বিশ্বকাপের আগে শেষ ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছেন তামিম-লিটনরা। কিউইদের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের উজ্জীবিত রাখতে চায় বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায়। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন গাজী টিভি ও টি-স্পোর্টস।
কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটিতে বিশ্রামে রাখা হয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং পেসত্রয়ী তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামকে। চোট ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে দলে ফিরেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে স্কোয়ার্ডে রাখা হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। ফিরেছেন সৌম্য সরকারও। এ ছাড়া, দলে ডাক পেয়েছেন তিন নতুন মুখ জাকির হাসান, রিশাদ হোসেন ও খালেদ আহমেদ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাকি আছে মাত্র ১৫ দিন। এর আগে সিরিজটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ দুই দলের জন্যই।
নিউজিল্যান্ডও নিজেদের প্রথম সারির খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছে। উভয় দলই এমন কিছু খেলোয়াড় রেখেছে যারা ব্যক্তিগত পারফরমেন্স দিয়ে জ¦লে ওঠার পাশাপাশি বিশ্বকাপ দলে সুযোগের জন্য নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তোলা। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্বদানকারী লিটন দাস বলেন, ‘দেশের জন্য দলের হয়ে সিরিজ জয় করার চেয়ে বড় কিছু নেই। সিরিজ জয়ের জন্যই আমরা লড়াই করবো। আমরা আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে চাই।’ ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশকে নিজ মাটিতে হারাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ২০১০ সালে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হারের লজ্জা পায় নিউজিল্যান্ড এবং ২০১৩ সালে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
বাংলাদেশ সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেয়া লুকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট, রাচিন রবীন্দ্র, ইশ সোধি এবং উইল ইয়ংসহ বিশ্বকাপে দলে জায়গা পাওয়া মাত্র পাঁচ খেলোয়াড় আছেন বাংলাদেশ সিরিজে। ফার্গুসন বলেন, ‘বাংলাদেশে খেলার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আমরা জানি। নিজেদের কন্ডিশনে তারা খুবই শক্তিশালী দল। তবে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’ সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৩৮টি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ১০টিতে এবং হেরেছে ২৮টিতে।
পূর্বকোণ/আরডি