মেসিবিহীন আর্জেন্টিনাকে বলিভিয়ার বিপক্ষে জয় পেতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা শেষ পর্যন্ত জিতেছে ৩-০ গোলে। দলের হয়ে গোল করছেন এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো এবং নিকোলাস গনসালেস। এ নিয়ে বিশ্বকাপের পর খেলা ৬ ম্যাচের প্রতিটিতে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টিনা ১৭ গোল করলেও হজম করেনি কোনো গোল।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে লাপাজের এস্তাদিও হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়ামে ৬০ শতাংশ বলই দখলে ছিল আর্জেন্টিনার। অন্যদিকে ৩৯ মিনিটে দুই হলুদ কাডের পর লাল কার্ড হজম করে মাঠ ছাড়তে হয় বলিভিয়ার রবার্তো ফার্নান্দেজকে। ঘরের মাঠের বিরূপ পরিস্থিতি দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করা তো দূরে থাক, স্বাগতিকরা উল্টো ১০ জনের দল নিয়ে আরও চাপে পড়ে যায়।
প্রথম দশ মিনিট থেকেই ম্যাচের প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় আর্জেন্টিনা। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের রদ্রিগো দি পলের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ঠিক দুই মিনিট পর এনজোর দুর্দান্ত এক শট আঙুল ছুঁয়ে ঠেকিয়ে দেন বলিভিয়ার গোলরক্ষক। তবে ৩১ মিনিটে আর ভুল করলেন না এই চেলসি মিডফিল্ডার। জুলিয়ান আলভারেজ ও ডি মারিয়া হয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে বল পেয়ে যান এনজো। সেখান থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে তিনি দলকে এগিয়ে দেন।
এরপরই দশ জনের দলে পরিণত হওয়া বলিভিয়া আরও চাপে পড়ে যায়। তারই সুযোগ নিয়ে বিরতির আগমুহূর্তে লিড ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তালিয়াফিকো। ডি মারিয়ার ফ্রি কিক বলটি তিনি হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। ২-০ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় স্কালোনির শিষ্যরা।
বিরতির পরও বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা খেলায় আধিপত্য ধরে রাখে। তবে খেলার গতি ঠিক আগের মতো ছিল না। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাঠের উচ্চতা-ই হয়তো এই প্রভাব ফেলেছে। তবে ৭০ ও ৭২ মিনিটে নেওয়া আলভারেজ ও ডি মারিয়ার দূরপাল্লার শটেও হতে পারত গোল। তবে সেবার জালের দেখা না পেলেও ৮৩ মিনিটে ঠিকই সফরকারী আলবিসেলেস্তে বাহিনী তৃতীয় গোল আদায় করে নেয়। বদলি নামা এজিকিয়েল পালাসিওসের পাস থেকে নিকোলাস গনসালেস সফল লক্ষ্যভেদ করেন।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইয়ের টেবিলে শীর্ষস্থান দখল করে নিল আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ইন্টার মায়ামি ও জাতীয় দলের হয়ে টানা ম্যাচ খেলার ধকলও কিছুটা সামলাতে পারলেন মেসি। বয়স ও ক্লান্তির কথা মাথায় রেখেই এদিন তাকে বাইরে রেখেছিলেন স্কালোনি।
পূর্বকোণ/পিআর