চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

ক্রিড়া ডেস্ক

১৬ জুলাই, ২০২৩ | ১০:৪০ অপরাহ্ণ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের ১১৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। সিরিজের দুই ম্যাচ জিতে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশও করে সাকিব-লিটনরা।

 

এর আগে, বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ১১৯ রানের টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ২০ ওভারের পরিবর্তে ১৭ ওভারের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে সফরকারীরা। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট লাভ করেন তাসকিন।

 

বল হাতে বাংলাদেশকে শুরুতেই সাফল্য এনে দেন তাসকিন। গুরবাজ এবং জাজাইকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে আফগানিস্তানকে চাপে ফেলেন তাসকিন। টাইগার এই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরই সিলেটে হানা দেয় বৃষ্টি।

 

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর ৩ ওভার কমিয়ে পুনরায় মাঠে গড়ায় ম্যাচ। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নবিকে আউট সাইড এজ বানিয়ে আউট করেন মুস্তাফিজ। এরপর জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। ইব্রাহীম জাদরানের পর নাজিবউল্লাহ জাদরানকেও ফেরান তিনি।

 

শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে করিম জানাতকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান তাসকিন। শেষ পর্যন্ত রশিদ খান ৬ ও মুজিবউর রহমান ১ রান করে অপরাজিত থাকে।

 

লিটন দাস ও আফিফ হোসেনের উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু পেল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৫ ওভারে স্কোর বোর্ডে যোগ হয় ৫০ রান।

 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমে প্রথমবারই পঞ্চাশ ছোঁয়া উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী হন আফিফ। যেখানে তার অবদান অবশ্য ১৩ রান। লিটন ২৯।

 

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর থেমে আসে রানের চাকা। টানা কয়েক ওভারে তেমন রান না আসার চাপটাই হয়তো অনুভব করতে থাকেন লিটন দাস, আফিফ হোসেন। যার মাশুল গুনতে হয় নিজেদের উইকেট হারিয়ে।

 

মুজিব উর রহমানের বলে বাউন্ডারির খোঁজে ইনসাইড আউট ড্রাইভ করেন লিটন। মনে হচ্ছিল বাউন্ডারি পেয়েই যাবেন। কিন্তু কাভারে দাঁড়ানো রশিদ খান ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে নেন দুর্দান্ত ক্যাচ।

 

৬ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করে আউট হন লিটন। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। এক বল পরই তাকে অনুসরণ করেন আফিফ।

 

অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ ডেলিভারি স্লগ সুইপ করেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু ধরা পড়ে যান ডিপ মিড উইকেটে থাকা করিম জানাতের হাতে।

 

এতে হঠাৎ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দুই ওভারের মধ্যে ফিরে যান টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান।

 

আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ইয়র্কার ধরনের ডেলিভারি ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে পায়ে লেগে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ বলে ৪ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

 

১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৬ রান। শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন হয় ৪৩ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান।

 

আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ছক্কা মেরে পরের বলেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন তাওহিদ হৃদয়।

 

তবে এতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ৬ উইকেট হাতে রেখে ১৫ বলে ১২ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন। তিনি সঙ্গ দেন সাকিব আল হাসানকে।

 

মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানের শেষ দুই ওভার থেকে ২০ রান নিয়ে সমীকরণ সহজ করেন সাকিব ও হৃদয়।

 

পরে ওমরজাইয়ের ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন হৃদয়। প্রয়োজন নেমে আসে ১৬ বলে ১২ রানে। কিন্তু থামতে চাননি হৃদয়। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক শটের চেষ্টায় মিড অফে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে একটি করে চার-ছক্কায় ১৭ বলে ১৯ রান করেন হৃদয়।

 

সাকিব ও শামীম পাঠোয়ারীর হাত ধরে ৫ বল বাকি থাকতে জয় পায় বাংলাদেশ। শামীম করেন অপরাজিত ৭ ও সাকিব ১৮ রান।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট