সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩৩১ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। একটি উইকেট নেন এবাদত হোসাইন।
আজ শনিবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা।
ব্যাট করতে নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করছিলেন। কোনো উইকেটই ফেলতে পারছিল না টাইগাররা। আক্রমণাত্মক মেজাজে গুরবাজ তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৪৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর গুরবাজ সেঞ্চুরি করেন ১০০ বলে।
সাকিবের হাত ধরে প্রথম উইকেট পায় লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। সাকিব ফেরান রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের অফ স্টাম্প লাইনে পিচ করা বলটি হুট করেই ভেতরে ঢুকে যায়। চেষ্টা করলেও গুরবাজ তা ব্যাটে লাগাতে পারেননি। আম্পায়ার সরাসরি আউট দেন। তখন তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৫ রান। সাকিবের পর উইকেট পান এবাদত হোসেনও। এ পেসার ফিরিয়েছেন রহমত শাহকে। ৫ বলে ২ রান করে বিদায় নেন রহমত।
এবাদত উইকেট পাওয়ার পরের ওভারেই লিটন বল তুলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। এ অলরাউন্ডার ইনিংসের ৩৯তম ওভারের পঞ্চম বলে শহীদিকে শিকারে পরিণত করেন। আউট হওয়ার আগে শহীদি করেন ২ রান।
কিছু সময়ের ব্যবধানে টাইগাররা ৩ উইকেট তুলে নেয়ায় তাৎক্ষণিক রানে গতি কমে যায় আফগানিস্তানের। ইব্রাহিম ও নাজিবউল্লাহ জাদরানের জুটিতে আবার ইনিংস গড়ার কাজে লাগে আফগানরা। কিন্তু মিরাজ নাজিবউল্লাহকে ফেরালে আবার লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। ইব্রাহিম ঠিক ১০০ রান করার পর ফিরে যান মুস্তাফিজুর রহমানের ওভারে। ১১৯ বলে ৯টি চার ও একটি ছয় হাঁকান এ ওপেনার।
রশিদ খান ৫ রান করে সাকিবের বলে স্টাম্পিং হন। তবে ১৫ বলে নবি খেলেন গুরুত্বপূর্ণ ২৫ রানের ইনিংস। বাকিদের মধ্যে মুজিব উর রহমান ৫ ও আজমতউল্লাহ ২ রান করেন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ