প্রায় দুই দশক পর আসছে নভেম্বরে আবারও এশিয়া মহাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ। মুসলিম প্রধান মধ্যপ্রাচ্যের কাতার-এ মাসব্যাপী টুর্নামেন্টে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি ৩৬.৮ সেন্টিমিটার উচ্চতার ট্রফি জয়ের জন্য লড়বে ৩২ দেশ। শুধু ট্রফিই নয়, পুরস্কারে থাকবে অর্থের ঝনঝনানিও। বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরের জন্য ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা) প্রাইজমানি বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছে, যা ২০১৮ সালে আয়োজিত রাশিয়া বিশ্বকাপের চেয়ে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বেশি। মোট ৭টি ধাপে এই বিশাল অংকের প্রাইজমানি বণ্টন করা হবে।

কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলই প্রস্তুতির জন্য পাবে দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরবর্তীতে গ্রুপপর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত বিভিন্ন রাউন্ডে দলগুলো পাবে বিভিন্ন অঙ্কের প্রাইজমানি। সবচেয়ে বড় অঙ্কের প্রাইজমানি যে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য বরাদ্দ, সেটি না বলে দিলেও চলছে।

কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে সোনালী ট্রফিটির সঙ্গে ৪২ মিলিয়ন ডলারও পাবে শিরোপাজয়ী দলটি। রানার্সআপ দল পাবে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রাইজমানি।

তাছাড়া, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান অধিকারী দল দুটি যথাক্রমে পাবে ২৭ মিলিয়ন এবং ২৫ মিলিয়ন ডলার পাবে। কোয়ার্টার ফাইনাল অর্থাৎ শেষ আটে পা রাখা দলগুলো পাবে ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর যেসব দল প্রথম রাউন্ডের বৈতরণী পেরিয়ে নকআউট পর্বে পা রাখবে, তারা প্রত্যেকের ঝুলিতে যাবে ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে যেসব দল গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পেরিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হবে, তারাও খালি হাতে ফিরবে না। কারণ প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির পথ ধরার সময়ে প্রতিটি দলই ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সঙ্গে করে নিয়ে যাবে।

পূর্বকোণ/আর