
১৯৬০ সাল থেকে পথচলা শুরু চট্টগ্রাম বন্দর স্টেডিয়ামের। স্বাধীনতার পর আধুনিকতার স্পর্শ পাওয়া স্টেডিয়ামটি এখন চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনেরই বড় সম্পদ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন ভেন্যুটি ক্রমশ আরও আধুনিক হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর ক্রীড়া সমিতিসহ বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের সন্তানরা এই স্টেডিয়ামটি নিয়মিত ক্রীড়া কর্মকান্ডে ব্যবহার করেন। এর বাইরে জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ জাতীয় পর্যায়েও নিয়মিত ব্যবহার হয় স্টেডিয়ামটি।
কর্তৃপক্ষের মালিকানায় আছে চট্টগ্রাম বন্দর স্পোর্টস কমপ্লেক্সও। সুনিপুণ পরিচালনায় এই কমপ্লেক্সটি এখন চট্টগ্রামের গর্ব। এখানে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, দাবাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে একাডেমিক কার্যক্রম চলে। মেয়েদের জন্য আছে আত্মরক্ষার কৌশল জানার ইভেন্ট কারাতে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের (অনূর্ধ্ব-১৯) সময় কমপ্লেক্সটি অনুশীলন ভেন্যু হিসাবে ব্যবহার করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর স্টেডিয়াম ও বন্দর স্পোর্টস কমপ্লেক্স-এই দুই ভেন্যুতে এমন কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে যা দেশের অনেক জেলাতেই নেই। আধুনিকতার পালে এখন এই স্টেডিয়ামে যুক্ত হতে চলেছে ফ্লাড লাইট। স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আগে থেকেই এই সুবিধা বিদ্যমান হলেও বন্দর স্টেডিয়ামকে ফ্লাড লাইটের আওতায় আনার পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গেছে। ৮ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দর একাডেমি মাঠে দিবা-রাত্রির এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলাকালে এমন ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (এডমিন এন্ড প্ল্যানিং) মো. জাফর আলম।
ফ্লাড লাইট ইস্যুতে গতরাতে কথা হয় বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক-এর সাথে। তিনি বলেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে বাস্তবিক অর্থে স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট স্থাপিত হলে সুফল পাবে চট্টগ্রামের খেলাধুলা। তিনি আরও বলেন, বন্দর স্টেডিয়াম মূলত বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যরাই ব্যবহার করেন। এর বাইরে সিজেকেএসসহ জাতীয় পর্যায়েও এটি ব্যবহার করা হয়। ফ্লাডলাইট স্থাপিত হলে স্টেডিয়ামটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রূপ পাবে’।
কথা হয় বন্দর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পরিচালক গোলাম মুর্তজার সাথেও। তিনিও জানালেন ৮ ফেব্রুয়ারি যে তথ্যটি সবার সামনে এসেছে আসলেই সেটি পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই ছিল। বন্দরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই কমপ্লেক্সে আধুনিক সুযোগ সুবিধার আওতায় প্রায় ৯০০ জন ক্রিকেট দীক্ষা নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সারাবছরই বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য ইভেন্টে উন্নতির সাথে ক্রিকেটের পাইপলাইনে ক্রিকেটার সরবরাহ করাই কমপ্লেক্সের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য. ১৯৬০ সালে পথচলা শুরুর পর থেকে নিয়মিতই খেলাধুলার বিভিন্ন সূচিতে ব্যাস্ত থাকছে ভেন্যুটি। ভেন্যুটির পরিচিতি বন্দর স্টেডিয়াম নামে হলেও এর প্রাতিষ্ঠানিক নাম শহীদ ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জামান স্টেডিয়াম।
পূর্বকোণ/এএ