আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ২০০১ সাল থেকে, ছিলেন ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ দলের অংশ। মাঝে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ না খেললেও আসন্ন টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্য চতুর্থ বিশ্বকাপ। অভিজ্ঞতার বিচারে ইংল্যান্ড-২০১৯ বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ অধিনায়ক মাশরাফি। এমনকি ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ খেলা মাত্র ২ ক্রিকেটারের একজন তিনি, অন্যজন উইন্ডিজের ক্রিস গেইল। এছাড়া বয়সটাও ৩৫ পেরিয়েছে তার। ফলে এ বিশ্বকাপটিই মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ- তা খানিক ঝুঁকি নিয়ে বলেই দেয়া যায়। কারণ চার বছর পরের বিশ্বকাপ আসার আগ পর্যন্ত মাশরাফি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাবেন, তা একপ্রকার অলীক কল্পনাই বলা চলে। তাই তো প্রিয় বড় ভাই ও অধিনায়কের শেষ বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে চান বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডের সবাই গতকাল প্রথমবারের মতো অনুশীলন করেছেন একসঙ্গে। আইপিএলে থাকায় ছিলেন না সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অনুশীলনের ফাঁকে বিশ্বকাপ ভাবনা ও নিজের প্রস্তুতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন মুশফিক। বিশ্বকাপকে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ সবচেয়ে বড় মঞ্চ। এখানে সবাই পারফর্ম করতে চাইবে। মনে হয় এটাই একসাথে হয়তো বা আমাদের শেষ বিশ্বকাপ। মাশরাফি ভাই যদি এরপরে আর বিশ্বকাপ খেলতে না পারে, তাহলে এটাই একসঙ্গে খেলা শেষ বিশ্বকাপ আমাদের । তো আমরা সবাই চাইবো মাশরাফি ভাইয়ের জন্য হলেও যেন বিশেষ কিছু করতে পারি। যেটা কিনা স্মরণীয় হতে পারে। আমার মনে হয় এটা অবশ্যই অনেক বড় সুযোগ। একই সাথে আমাদের সুযোগও অনেক বেশি আছে।’ এসময় আসন্ন বিশ্বকাপে নিজের ব্যাটিং ভাবনা এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এমন একটি বড় ইভেন্টে সবাই চায় মনে রাখার মতো করে খেলতে।