পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার শহরকে পর্যটকবান্ধব করতে কউকের একাধিক প্রকল্পের ফাইলের ফিতা খুলতে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে সেগুলো শহরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি সড়কবাতি স্থাপনে এবার রাতে আলোকিত হয়ে উঠছে পর্যটন শহর।
কউক সূত্রে জানা গেছে, সড়ক আলোকায়ন প্রকল্প ২ এর আওতায় কক্সবাজার শহরকে আলোকিত করতে ছয়শত সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। কলাতলীর ডলফিন মোড় থেকে হলিডের মোড় হয়ে ঝাউতলার প্রধান, বাজারঘাটা, গোলদিঘিরপাড়, টেকপাড়া ও প্রধান সড়কের হাশেমিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত এসব সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। এতে রাতের বেলায় আলোকিত হয়ে উঠেছে শহরের প্রধান সড়কগুলো। বেড়েছে সৌন্দর্য, কমছে ছোটখাট অপরাধ। এর আগে সড়ক আলোকায়ন প্রকল্প ১ এর আওতায় পর্যটকদের সুবিধায় অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকা হিমছড়িতে প্রায় ২শ’ সড়কবাতি স্থাপন করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ফরিদুল আলম বলেন, কউক চেয়ারম্যান সৃজনশীল চিন্তার অধিকারী। তিনি শহরের সৌন্দর্য বাড়াতে ও জনগণের দুর্দশা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন। এ শহরকে সুরক্ষিত রাখতে সড়কবাতির পাশাপাশি অনেকগুলো উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছে কউক। তৎমধ্যে শহরের ঐতিহ্যবাহী তিন দিঘি দখলদারদের কব্জা থেকে উদ্ধার করে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছে কউক। অথচ ওই দিঘিগুলোর ঐতিহ্য রক্ষায় কোন জনপ্রতিনিধি আগে এগিয়ে আসেননি।
হোটেল সী আরাফাত রিসোর্টের ম্যানেজার মঈনুল বলেন, আগে রাতে চলাচলরত পর্যটকরা ছিনতাইয়ের ঝুঁকিতে থাকতো। বাতিগুলো দেয়াতে অনেকটা শঙ্কামুক্ত হয়েছে পথচারীরা। সাংস্কৃতির কেন্দ্র থেকে জইল্লার মোড় পর্যন্ত অন্ধকার ছিল। যার কারণে প্রতিনিয়ত ছোটখাট অপরাধের ঘটনা ঘটতো ওইসব স্থানে। বাতিগুলো নিয়মিত জ্বলাতে এখন অপরাধের ঘটনা অনেকটা কমায় তিনি কউক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
প্রকল্প পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম বলেন, শহরকে সাজাতে ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। তিনটি দিঘির আধুনিকায়নের কাজ চলছে। আরো অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে শহরের সৌন্দর্যের জন্য। তিনি এসব উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, আমরা দুইধাপে সড়ক আলোকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। যানজটে নাকাল প্রধান সড়কের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলিডের মোড় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত দু-লেনের রাস্তার প্রস্তাবনা দেয়া আছে অনেক আগে থেকে। বাজেট পাস হয়ে আসলেই কাজ শুরু করবো। এছাড়া রাস্তার প্রস্থ বাড়াতে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।