চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘টিকটকার’ এখনও এক ধরণের খোঁচা

ফারজানা তাবাসসুম

১১ জুন, ২০২৪ | ১০:৩৯ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে থাকার সময় টিকটককে একটা বিরক্তিকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিনতাম। আলতু ফালতু, অশিক্ষিত লোকজন আজেবাজে কনটেন্ট বানায়, এদের আবার ওখানে মিলিয়ন ফলোয়ার!

 

কেউ অদ্ভুত পোশাক পরে নাচছে, তো কেউ লেইম নাটিকা বানাচ্ছে। অ্যাপটা একটু ঘাটাঘাটি করে খানিকক্ষণ পর আনইন্সটল করে দিয়েছিলাম। এরপর একবার বোধহয় ব্যানও হয়েছিল।

 

যদ্দুর জানি ‘টিকটকার’ এখনও এক ধরণের খোঁচা হিসেবেই ব্যবহৃত হয়।

 

তো দেশ ছাড়ার পর আমার কাছে টিকটকের নতুন পরিচয় তৈরি হল। চট করে একটা রেসিপি দেখা হোক, স্কিনকেয়ার হোক, ওয়ার্কআউট হোক বা বইয়ের রিভিউ, আমি টিকটকে আগে খুঁজি। না পেলে ইউটিউবে যাই।

 

ভালো ভালো সব কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছে টিকটকে। দারুণ সব কনটেন্ট পাওয়া যায়। আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম নিশ্চয়ই বাংলাদেশেও এখন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিকটকে কনটেন্ট বানায় এখন।

 

এর মধ্যে হোমপেইজে টিকটকার প্রিন্স মামুন, লায়লা এসব নিউজ এসে ভরে যাচ্ছে। এরা যে এতো বিখ্যাত সেটাও সম্প্রতি জানলাম। কিন্তু কেন বিখ্যাত, কেন এতো মানুষ এদের ফলো করে সেটা বুঝলাম না। ভালো কাউকে নিয়ে কেন এতো প্রচার হয় না? ফলো করার যোগ্য, শিক্ষিত লোকেরা এতো আন্ডাররেটেড কেন?

 

থাক। যে দেশে থাকি না, সে দেশের অদ্ভুত ক্রেজ না বুঝতে পারাই ভালো।

 

বাংলা লিখি, পড়ি বলে ফেসবুক যে এসব ফালতু খবরের যন্ত্রণা সামনে নিয়ে আসে, এ বিপদ থেকে বাঁচার উপায় পেলেই চলবে।

 

Not interested ক্লিক করতে করতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি। তাও ফেসবুক ফিডে এসব আসা বন্ধ হচ্ছে না। দেশে ভালো কিছু হয় না আর? নাকি এসব খবর করলে ভিউ/ রিচ পাবার লোভে এসব নিয়েই পোস্ট করে নিউজ চ্যানেলগুলো?

 

কেউ ভালো কোন খবর জানলে আমাকে জানিয়েন তো। সেগুলো দিয়ে ফেসবুকের অ্যালগরিদম বদলানো যায় কি না দেখি!

 

লেখিকা: কানাডা প্রবাসী লেখক এবং শিক্ষক।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট