উদ্যান হলো বাগান। আপনি যখন উদ্যানে যাবেন তখন গাছপালায় ঘেরা প্রাকৃতিক একটি এলাকায় যাবেন। সেখানে কোনো স্থাপনা থাকবে না।
আমি যখন উদ্যান শব্দটা পড়ি, বলি বা শুনি, তখন প্রকৃতিবিদ ও জীববিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মার কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে জগদীশ চন্দ্র বসুর কথাও।
বিপ্লব উদ্যান আগে উদ্যান ছিল। সেখানে নানা ধরনের গাছ ছিল। অনেক বছর আগে বেকার সময়ে অনেকবার গিয়েছিলাম। বসেছি, গাছের, ফুলের ছোঁয়া পেয়েছি। এক দণ্ড বসে নিজের কথা নিজের মতো করে ভেবেছি। হয়ত মনের কথা বলেছি গাছকে। প্রকৃতি থেকে নিরাময়ও পেয়েছি।
কিন্তু সেই উদ্যানে এখন উন্নয়নের হাত পড়েছে। তা হচ্ছে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে। গাছ নিজেই তো সুন্দর। এখানে আবার সৌন্দর্যবর্ধন কী?
এক জনপ্রতিনিধি উদ্যানকে রেস্টুরেন্টপাড়া বানিয়েছিলেন। আরেকজন এখন জাদুঘর করবেন। উদ্যানে কেন জাদুঘর? উদ্যানে কেন স্থাপনা? আর কোনো স্থান কি চট্টগ্রাম শহরে নেই?
চট্টগ্রাম শহরে নির্জন, প্রাকৃতিক স্থান নেই বললেই চলে। এক টুকরা উদ্যান, সেখানেও ‘হাত’ পড়েছে। ভালো, খুবই ভালো। উদ্যানের কী দরকার? গাছেরইবা দরকার কী? সব গাছ কেটে ফেলা হোক, ইট-পাথরে ভরিয়ে দেওয়া হোক এই নগরকে।
লেখক: কথাসাহিত্যিক
পূর্বকোণ/এএইচ