
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট : কোয়াকারি বলতে প্রতারণামূলক বা অজ্ঞ চিকিৎসাপদ্ধতির প্রচার ও চর্চাকে বোঝায়। যারা মিথ্যা চিকিৎসাজ্ঞান বা দক্ষতার ভান করে জনগণের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে, তাদেরই কোয়াক বা ভণ্ড চিকিৎসক বলা হয়। ২০শ’ শতাব্দীর গোড়ার দিকে পশ্চিমা বিশ্বে কোয়াকারি সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯০৬ সালের ‘Pure Food and Durg Act’-এর মাধ্যমে ওষুধে বিপজ্জনক উপাদান নিষিদ্ধ ও লেবেলিং নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়। পরে ১৯১২ সালের ‘Sherley Amendment’ নামে একটি আইন করা হয়। Sherley Amendment(1912) ছিল এমন একটি আইন যা ওষুধের মিথ্যা কার্যকারিতা প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল, তবে ‘প্রতারণার উদ্দেশ্য’ প্রমাণের প্রয়োজনীয়তার কারণে এর কার্যকারিতা সীমিত ছিল।
সাংবাদিক ‘স্যামুয়েল হপকিন্স অ্যাডামস’ তাঁর The Great American Fraud (1905) সিরিজের মাধ্যমে এই প্রতারণার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেন। পাশাপাশি American Medical Association (AMA)-এর ড. আর্থার জে. ক্র্যাম্প আজীবন ভণ্ড চিকিৎসা ও ওষুধ প্রতারণার বিরুদ্ধে কাজ করেন। তবে ১৯৭৫ সালে AMA-এর ‘Department of Investigation’ বন্ধ হয়ে যায়; তাদের উত্তরাধিকার হিসেবে আজও ‘Health Fraud and Alternative Medicine Collection’ সংরক্ষিত আছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও কোয়াকগিরির উৎপত্তি : ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার ছিল খুবই কম এবং অধিকাংশ উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল কলকাতাকেন্দ্রিক। ১৯৫৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পূর্ববাংলায় প্রথম আধুনিক মেডিকেল শিক্ষার সূচনা হয়। সে সময় অধিকাংশ এমবিবিএস চিকিৎসক ছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের স্নাতক। চিকিৎসা পেশার মূল শক্তি সবসময়ই ছিল যোগ্যতা, দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ। এই কারণেই এমবিবিএস (MBBS) ও বিডিএস (BDS) ডিগ্রিগুলো দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা জগতে উৎকর্ষের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। বহু বছরের কঠোর পড়াশোনা, হাসপাতালের বাস্তব অভিজ্ঞতা, এবং কঠিন পরীক্ষা পেরিয়ে একজন চিকিৎসক হয়ে ওঠেন, যিনি শুধু ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন না, বরং মানুষের জীবন রক্ষা করেন গভীর জ্ঞান, বিচারবোধ ও সহানুভূতির মাধ্যমে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ‘Medical Assistant Training School (MATS)’ থেকে ‘Diploma in Medical Faculty(DMF)’ অর্জনকারীদের স্বাধীনভাবে চিকিৎসা করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে। সত্যি বলতে, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টরা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ, তারা মাঠপর্যায়ে কাজ করে, চিকিৎসকদের সহায়তা করে, এবং অনেক সময় জনগণের প্রথম সংস্পর্শে আসে। কিন্তু তাদের প্রশিক্ষণ এমবিবিএস ডিগ্রির মতো বিস্তৃত নয়; তারা সহায়ক, নেতৃত্বদানকারী নয়।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে ‘Medical Assistant Training School (MATS)’ থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রীটির নাম, কে বা কারা গালভরা Diploma in Medical Faculty নাম দিয়েছে আমার জানা নাই। আমার মনে হয়ে এই নামটি অতিস্বত্তর পরিবর্তন করা দরকার। এই ডিগ্রির সঠিক নামকরণ করা উচিত ‘প্যারামেডিকস’। আইনজীবীদের সহায়ক কে যেমন বলা হয় প্যারালিগ্যাল। ‘Medical Assistant Training School (MATS)’ এর নামও পরিবর্তন করে নাম করন করা হোক ‘প্যারামেডিকেল স্কুল’।
এখন প্রশ্ন হলো- যদি সীমিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্বাধীনভাবে চিকিৎসা করার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে কি আমরা নিজেরাই ঝুঁকির পথে হাঁটছি না? ভুল রোগ নির্ণয়, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ, কিংবা জটিল রোগীর ভুল ব্যবস্থাপনা- এসবের সম্ভাবনা তখন বেড়ে যায় বহুগুণে। এমন পরিস্থিতিতে রোগীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি চিকিৎসা পেশার প্রতি মানুষের আস্থাও কমে যাবে। আমরা সবাই চাই গ্রামীণ ও দূরবর্তী এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাক। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে গুণগত মানের সঙ্গে আপস করা যাবে না। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের ভূমিকা অবশ্যই মূল্যবান-তবে সেটি তদারকির আওতায়, চিকিৎসকদের সহায়ক হিসেবে থাকা উচিত, স্বাধীন চিকিৎসক হিসেবে নয়।
স্বাস্থ্যসেবা মানে শুধু উপস্থিতি নয়, দক্ষতার নিশ্চয়তাও। তাই এখনই সময় সরকার ও নীতিনির্ধারকদের ভাবার, আমরা কি পরিমাণ বাড়াতে চাই, নাকি মান বজায় রাখতে চাই? কারণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি ছোট ভুলও হতে পারে কারও জীবনের শেষ ভুল। ব্রিটিশ শাসনামলে এমবিবিএস ডাক্তার স্বল্পতার কারণে গ্রামীণ এলাকায় ‘অভিজ্ঞতা নির্ভর’ অনেক ব্যক্তি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিতে শুরু করেন। এদের সকলেই একজন এমবিবিএস ডাক্তার এর সাথে কম্পাউন্ডার হিসাবে কাজ করতেন। উনারা ডাক্তার এর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ বা বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে মিক্সার বানিয়ে দিতেন। পরবর্তীতে LMF (Licentiate Medical Faculty) কোর্সের মাধ্যমে সীমিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা জন্ম নেন। ১৯৭৬ সালে চীনের ‘বেয়ারফুট ডাক্তার’ ধারণা অনুসরণ করে বাংলাদেশে স্যকামো (SACMO Sub-Assistant Community Medical Officer) ও ম্যটস (MATSt Medical Assistant Training School) চালু করা হয়।
বাংলাদেশের কোয়াকদের প্রকারভেদ : ক) সরকারি কোয়াক ডাক্তার : এরা সাধারণত MATS/SACMO প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী, যারা তাদের দায়িত্বসীমা অতিক্রম করে প্রেসক্রিপশন প্রদান বা চিকিৎসা কার্য সম্পাদন করেন। তাদের মূল কাজ হলো রোগীর ‘ভাইটাল (রোগীর বøাড প্রেসার,ওজন, পালস্ ও শরীরের তাপমাত্রা) নেওয়া, প্রাথমিক ইতিহাস নেওয়া এবং ডাক্তারকে সহায়তা করা’-চিকিৎসা প্রদান নয়। কিন্তু অনেকেই ‘কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার’ পদবী ব্যবহার করে জনগণের বিভ্রান্তি ঘটান এবং চতুরতার সাথে ‘মেডিকেল অফিসার’ বাক্যটিকে ব্যহবার করে নিজেকে ডাক্তার হিসাবে জাহির করেন।
খ) বেসরকারি কোয়াক ডাক্তার : বেসরকারি কোয়াকরা আরো বহুমুখী। প্রধান প্রকারভেদ নিম্নরূপ- ১. ‘অর্শ-ভগন্দর’ বিশেষজ্ঞ (পাইলস ডাক্তার)-দেশের প্রায় প্রতিটি হাট-বাজার ও বাসস্টেশনে এদের সাইনবোর্ড দেখা যায়। ২. হাড়ভাঙা ডাক্তার (অর্থোপেডিক কোয়াক)। ৩. ‘খতনা’ বা সারকামসিশন বিশেষজ্ঞ (হাজাম)। ৪. ‘জন্ডিস বিশেষজ্ঞ’, ইএনটি বিশেষজ্ঞ, যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, ডেন্টিস্ট কোয়াক, এবং মিডওয়াইফ প্র্যাকটিশনার। ৫. ইদানীং ‘লেজার মেশিনের’ সাহায্যে চামড়ার দাগ দূর করার কথা বলে ‘স্কিন স্পেশালিস্ট’ বনে গেছেন অনেকেই। এরা প্রকাশ্যে ব্যানার-পোস্টার দিয়ে প্রচারণা চালায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় নিস্ক্রিয় থাকে। সোশ্যলা মিডিয়াতেও এরা সক্রিয়। এরা অত্যন্ত চতুরতার সাথে প্রাতিষ্ঠানিক নামের অপব্যবহার করে থাকে MATS ও SACMO নামের ‘Medical’ শব্দটি সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করে, যার ফলে এরা ‘ডাক্তার’ হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি পায়।
একটি অপ্রিয় সত্য হলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমবিবিএস ডাক্তারদের নিয়মিত অনুপস্থিতি স্যাকমো/ ম্যাটস কে ডাক্তার বানাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এমবিবিএস ডাক্তারদের অনুপস্থিতির সুযোগে স্যাকমোরা এককভাবে প্র্যাকটিস করে এবং ‘সরকারি ডাক্তার’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
এমবিবিএস ডিগ্রী ছাড়া চিকিৎসা দেওয়া বেআইনি : বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) আইন অনুযায়ী অ–এমবিবিএস কর্মীরা চিকিৎসা দিতে পারেন না, কিন্তু কার্যত কোনো তদারকি নেই। সামাজিক উদাসীনতাও কোয়াকদেরকে সাহস যোগায় চিকিৎসক হিসাবে নিজেকে জাহির করতে। কোয়াকদের বিজ্ঞাপন টেলিভিশন, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা যায় যা সচেতনতার ঘাটতি নির্দেশ করে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। যেমন MATS-এর নাম পরিবর্তন করে ‘প্যারামেডিক স্কুল’ রাখা। Diploma in Medical Faculty-এর নাম পরিবর্তন করে ‘প্যারামেডিকস’ রাখা এবং প্যারামেডিকদের জন্য আলাদা ইউনিফর্ম নির্ধারণ করা (যেমন: লাল জামা ও কালো ট্রাউজার)। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং প্যারামেডিকদের স্বাধীনভাবে প্রেসক্রিপশন দেওয়া নিষিদ্ধ করা। এ ছাড়াও আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ : নিয়মিতভাবে প্রয়োগ করার জন্য BMDC ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান পরিচালনা করাও জরুরি। পর্যায় ক্রমে কোয়াকদের সব চেম্বার ও ক্লিনিক এক মাসের নোটিশে বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া দরকার। প্রতিটি জেলায় কোয়াকদের তালিকা তৈরি করে ধাপে ধাপে অভিযান চালানোর দরকার বলে আমি মনে করি। এছাড়াও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক কোয়াক প্রতিষ্ঠানের মালামাল ক্রোক ও স্থাপনা সিলগালা, রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, লঞ্চঘাট থেকে কোয়াক বিজ্ঞাপন অপসারণ করাও দরকার।এই বিজ্ঞাপন ও ব্যানার সরানোর কাজটি বিজ্ঞাপন দাতা কোয়াককে দিয়ে করাতে পারলে আরো ভালো হয়। একইসাথে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রফেশনাল সোসাইটিগুলোর ভূমিকাও অপরিহার্য । বিশেষ করে অর্থোপেডিক, কোলোরেক্টাল, ইউরোলজি, ডেন্টাল সোসাইটি প্রভৃতিকে কোয়াকবিরোধী প্রচারণা চালাতে হবে।
বর্তমান যুগের প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোয়াক বিরোধী ভিডিও ও রীল প্রচারণা এবং ‘কোয়াক থেকে সাবধান’ ধরনের সচেতনতামূলক কনটেন্ট তৈরি করা দরকার। আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ ধর্মীয় বক্তাদের কথা গুরুত্ব সহকারে শুনে থাকেন তাই ইমামদের মাধ্যমে বিশেষ করে জুমার খুতবায় কোয়াকারির ক্ষতি ও বৈধ চিকিৎসার গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য প্রচার করা দরকার। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ স¤প্রসারণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেয়া সার্টিফাইড প্যারামেডিকস, নার্স অ্যাসিস্টেন্ট, ফ্লেবোটমিস্টের সহ এল্যাইডহেলথ এর কর্মী সংখ্যা বাড়ানো উচিত, যাতে সঠিক পরিষেবা জনগণের কাছে সহজলভ্য হয়।
সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট কিছু উদ্যোগের ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেমন- ‘বাংলাদেশ এমবুলেন্স সার্ভিস’ গঠন করে বর্তমান স্যাকমোদেরকে/ডিএমএফ দেরকে এমবুলেন্স চালক কাম প্যারামেডিক হিসেবে পুনর্বিন্যস্ত করা। ‘খতনা কোর্স’ চালু করে সার্টিফায়েড চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া; ২০৩০ সাল থেকে অ-চিকিৎসক দ্বারা খতনা করাকে দন্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করা। ‘ধর্মীয় বক্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের’ মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণকে কোয়াকবিরোধী সচেতনতা প্রচার।
বাংলাদেশে কোয়াকগিরি শুধু একটি স্বাস্থ্য–সংক্রান্ত সমস্যা নয়, এটি একটি ‘সামাজিক–প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা’। একদিকে আইন আছে, অন্যদিকে প্রয়োগ নেই। সমাধান হতে হবে সমন্বিত- ১) শিক্ষা ও সচেতনতা, ২) কঠোর প্রশাসনিক তদারকি, এবং ৩) প্যারামেডিক পরিষেবার প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন-এই তিন স্তম্ভে দাঁড়িয়ে। কেবলমাত্র শাস্তি নয়, বিকল্প প্রশিক্ষণ ও সঠিক সুযোগের মাধ্যমে কোয়াকদের সমাজের জন্য উপযোগী জনস্বাস্থ্য কর্মীতে রূপান্তর করাই হবে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই সমাধান।
সবচেয়ে বড় কথা হল জনগনকে সচেতন হতে হবে। মনে রাখবেন আপনার অথবা পরিবারের কারো অসুখ হলে এমবিবিএস ডিগ্রি ধারী ডাক্তার এর খোঁজ করুন এবং দাঁতের কোন সমস্যা হলে বিডিএস ডিগ্রীধারী দাঁতের ডাক্তার এর কাছে যাবেন। বাংলাদেশ এর যে কোন এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রীধারী ডাক্তার এর ডিগ্রী সঠিক কিনা যাচাই করতে হলে এই ওয়েব সাইটে (https:/verify.bmdc.org.bd/regfind) গিয়ে ডাক্তার এর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিলে সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। বিএমডিসি আইন অনুযায়ী প্রতিটি রেজিস্টার্ড ডাক্তার এর প্রেসক্রিপশন এ তাদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক। সুতরাং এমবিবিএস/ বিডিএস ডাক্তার এর সেবা নিন এবং কোয়াক ডাক্তার এর ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করুন।
লেখক: রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট, সেইন্ট জন রিজিওনাল হসপিটাল, নিউ ব্রুান্সউইক। এসিস্টেন্ট প্রফেসর, ডালহাউসী ইউনিভার্সিটি, কানাডা।
পূর্বকোণ/ইবনুর