চট্টগ্রাম শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রাণ কি এতই তুচ্ছ?

আবসার মাহফুজ

২৫ মার্চ, ২০২৫ | ৩:১০ অপরাহ্ণ

কবিতার ভাষায় কথাগুলো ফিলিস্তিনি জাতিসত্তার কবি মাহমুদ দারবিশের। অনেক বছর আগেই তিনি এভাবে ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর চালানো অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের চিত্র তুলে ধরেছিলেন। পৃথিবী এগিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ^ আরো সভ্য ও মানবিক হওয়ার দাবি করছে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে জায়নবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনে অবাধে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার তাদের হত্যাযজ্ঞের প্রধান টার্গেট সেখানকার নারী ও শিশু। হামাসের ‘৭ অক্টোবর হামলা’কে অজুহাত করে গত ১৭ মাস ধরে জায়নবাদী ইসরায়েল গাজায় পৈশাচিক কায়দায় আগ্রাসন চালিয়ে অর্ধলক্ষাধিক নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন দেড়লক্ষাধিক। আবার আহত ও নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। মনে হচ্ছে ইসরায়েল ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ ঠেকাতেই নারী ও শিশুদের বেছে বেছে হত্যা করছে। জাতিসংঘ সনদ থেকে কোনো আন্তর্জাতিক আইনই অসহায় নারী ও শিশু হত্যা সমর্থন না করলেও দুঃখজনকভাবে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিশ্চুপ। মুসলিমবিশ^ও এ ব্যাপারে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। আর হোয়াইট হাউস তো বলেই দিয়েছে গাজায় ইসরায়েলের পরিচালিত আগ্রাসনে তাদের সমর্থন আছে। অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা এবং তাতে বিভিন্ন শক্তিধর দেশের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা কিছুতেই সভ্যতার মানদণ্ডে মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, লজ্জাকর ও উদ্বেগকর। এটি মানবসভ্যতার পরিপন্থী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া খ্যাত জায়নবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের বর্বরতা এখন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতির দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা উপেক্ষা করে গাজায় নজিরবিহীন বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এখন ঘুম ভাঙলেই লাশ! প্রিয়জনের লাশ। প্রতিবেশীর লাশ। বাবার কোলে সন্তানের লাশ। মায়ের বুকে নবজাতকের লাশ। ধ্বংসস্তূপের নিচে লাশ। অসহায়-নিরুপায় চোখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হয় সেসব হৃদয়বিদারক দৃশ্য। আল জাজিরা সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ভোরের আলো ফুটতেই গাজায় ঝাঁকে ঝাঁকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলের রক্তখেকো দানব বিমানগুলো। শুরু হয় পৈশাচিক হামলা। চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে আপনজনেরা-ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে; দেওয়ালে দেওয়ালে ছিটকে পড়ছে মাংসের দলা! গত একসপ্তাহ ধরে এই দৃশ্যই দেখছে গাজার রক্তাক্ত জনপদ। একদিকে ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে সবধরনের খাদ্যপণ্য ও ওষুধের চালান ঢুকতে দিচ্ছে না গাজায়, অন্যদিকে নির্বিচারে হত্যা করছে বেসামরিক লোকজনকে। গত মঙ্গল থেকে বিমান হামলায় গাজার আশ্রয় শিবিরগুলোতে প্রায় আট শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু। গত রবিবার আল জাজিরার ‘গাজায় নির্বিচার শিশু হত্যা : সালমাহর ঈদ আসবে না, হুরও আর হাঁটতে শিখবে না’ শিরোনামের এক হৃদয়স্পর্শী প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে- কয়েক দিন পরেই প্রথম জন্মদিন ছিল ফুটফুটে শিশু বানান আল-সালোউতের। আরেক শিশু হুর আল-সালোউতের বয়স এক বছর হয়েছে। কবে সে গুটি গুটি পায়ে হাঁটা শুরু করবে, সে অপেক্ষায় ছিলেন মা-বাবা। আর ঈদ কবে আসবে, কী কেনাকাটা করবে-তা নিয়ে ছোট্ট সালমাহ এসলিয়েহ যেন আরও চঞ্চল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- সালমাহের ঈদ আর আসবে না। হুর আল-সালোউতের প্রথম হাঁটা, আধো আধো বুলিতে কথা শোনার অপেক্ষা শেষ হবে না কোনো দিন। ইসরায়েলের নির্মম হামলা মা-বাবার কোল থেকে কেড়ে নিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজার এই শিশুদের। শুধু এই তিনজন নয়, ১৭ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ফিলিস্তিনের উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৮ হাজার শিশু। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য কনভারসেশনের তথ্যমতে, শিশুদের বেশির ভাগই নিহত হয়েছে ইসরায়েলের সরাসরি হামলায়। কনভারসেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলা শুরুর পর থেকে গাজায় আনুমানিক ৮৫ হাজার টন বোমা ফেলা হয়েছে। এতে সরাসরি আঘাত পেয়ে, ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে, আগুন লেগে এবং বিষাক্ত গ্যাস নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ড্রোন হামলা ও স্নাইপারের গুলিতে শিশুদের নিহত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সাহায্য সংস্থা ও চিকিৎসা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনমতে, গাজায় প্রতিদিন ১০ জনের বেশি শিশু এক বা একাধিক অঙ্গ হারিয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে জাতিসংঘ বলেছিল, গাজায় ‘বিশ্বে মাথাপিছু হিসেবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারানো শিশু’ রয়েছে। এসব শিশুর কারও পা নেই; কারও হাত কিংবা কারও দু’চোখ হারিয়েছে। গাজায় এ ধরনের অঙ্গ খুইয়েছে হাজার হাজার শিশু। একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে তার শিশুদেরই আগে শিকার করতে হয়, সেটি কে না জানে। তবে তা হতে না দিতে ফিলিস্তিনি নারী বা মায়েরা কতটা বদ্ধপরিকর সেটিও আমাদের জানা আছে। সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া এসব মায়েরা একেকটি সাহসী ও নির্ভীক প্রজন্মই জন্ম দিয়ে যান, ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে লড়তে। আর সে জন্যেই হয়তো এখন হত্যার তালিকায় প্রাধান্য পাচ্ছে শিশুদের পাশাপাশি নারীও। ফিলিস্তিনি নারীদের হত্যার পরিসংখ্যান দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো বলছে, ইসরায়েলি হামলা থেকে হাসপাতাল, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আশ্রয়শিবির কিছুই রেহাই পাচ্ছে না। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি পদার্থবিদ ও লেখক কাসেম ওয়ালিদ সম্প্রতি আল জাজিরার অনলাইন ভার্সনে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। তাতে তিনি বলেছেন- ‘আমরা গাজার মানুষ বারবার হুমকির মুখে পড়েছি। আমরা আমাদের ‘সাফ’ করে দেওয়ার হুমকি শুনেছি; গণহত্যার হুমকি শুনেছি। আমাদের ওপর ‘জাহান্নাম’ নামিয়ে আনার হুমকি শুনেছি। আসলে আমরা তো ইতিমধ্যেই জাহান্নাম পার করেছি। … ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির প্রথম পর্ব কার্যকর হওয়ার পর আশা করা হয়েছিল, ‘এটাই শেষ, যুদ্ধের গণহত্যার অংশ শেষ হয়েছে। কারণ, ইসরায়েল আর কী করতে পারে, যা তারা আগে করেনি? কিন্তু পবিত্র রমজানের শুরু হওয়ার পরপরই ইসরায়েল সব সাহায্যপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়। এটি আরেকটি খাদ্যসংকট সৃষ্টি করে। দুই সপ্তাহ পর, সাহ্রির ডাকের বদলে আমরা প্রচ- বোমাবর্ষণের শব্দে জেগে উঠলাম। ওই বোমায় ৪০০ জনের বেশি মানুষ মরেছে। এর মধ্যে অন্তত ১০০টি শিশু ছিল। ইসরায়েল তাদের ‘সম্পূর্ণ’ বিজয় অর্জন করতে আর কত শিশুকে হত্যা করবে?’ এখন ইসরায়েল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞের চতুর্থ দিনের মাথায় নেতানিয়াহু আরও ভয়ংকর আগ্রাসনের যে ইঙ্গিত দিয়েছে তা বাস্তবে দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের শিকার মানুষের তালিকা দিন দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আর শুধু হামলা, হত্যাকাণ্ডই শেষ কথা নয়-এবার গাজা দখলেরও পায়তারা করছে তারা। শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হুংকার দিয়ে বলেছেন- শুধু বিমান হামলাতেই এবার ক্ষান্ত হবে না ইসরায়েল, সামনের দিনগুলোতে ভয়ংকর ‘সর্বাত্মক হামলা’র পরিকল্পনাও রয়েছে নেতানিয়াহু সরকারের। তেল আবিব থেকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিমান, নৌ এবং স্থল হামলার মাধ্যমে যুদ্ধকে তীব্র করব। হামাস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত স্থল অভিযান সামরিক ও বেসামরিক পয়েন্ট লক্ষ্য করে স্থল অভিযান অব্যাহত থাকবে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ ওভাল অফিসে গাজা দখলের হুমকি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই বক্তব্যেকেও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কাটজ। ২৬ জানুয়ারি এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকেও একই কথা বলেছিলেন ট্রাম্প- গাজাবাসীকে মিসর, জর্ডানে স্থানান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে তার নমুনাও চোখে পড়ছে গাজায়। হোয়াইট হাউসের অনুমোদন নিয়েই এবার গাজায় আগ্রাসন চলছে। বিমান হামলার পাশাপাশি খান ইউনিস ও রাফাহ অঞ্চলে তা-ব শুরু করেছে ইসরাইলের স্থল অভিযান। ইতোমধ্যে বেইত লাহিয়া, জেইতুন শহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। মধ্যগাজায় অবস্থিত গাজার একমাত্র ক্যানসার হাসপাতালটিও গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, এবার শুধু গাজা নয়, পুরো ফিলিস্তিন গ্রাস করতে চায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের তীব্র হামলায় কোনোমতে দাঁড়িয়ে থাকা ইট-পাথরের ভবনগুলো এখন পুরোপুরি মিশে যাচ্ছে মাটিতে। কংক্রিট পাথরের সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে ভেসে আসছে গোঙানি কান্নার আওয়াজ। চাপা পড়া সেসব মানুষের আর্তনাদ শুনে ছুটে যাচ্ছেন প্রতিবেশী, উদ্ধারকর্মীরা। টেনে তুলছেন ‘মৃতপ্রায়’ মানুষটিকে। তবে সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধারকর্মী পৌঁছার আগেই অনেকের মৃত্যু ঘটছে। আবার সব লাশও উদ্ধার করা যাচ্ছে না, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকের কবর রচিত হচ্ছে। সে জন্যে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ যে হিসেব দিচ্ছে তা অসম্পূর্ণ বলে দাবি করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। তাদের মতে, গত ১৭ মাসে গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে, আহতের সংখ্যাও হবে দুই লক্ষাধিক।

ইসরায়েলের এমন বেপরোয়া হয়ে উঠার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ^ দায় এড়াতে পারে না। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। সে জন্যই বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর যখন দাবি করে, ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতও যখন রায় দেয় নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধী। তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে- এ বিশ্বে ইসরায়েল এবং নেতানিয়াহুর বিচার কে করবে? তবে আশার কথা হচ্ছে- ফিলিস্তিনের সার্বভৌম ভূখ-ের ওপর ইসরায়েলি দখলদারি ও আগ্রাসন বিশ্ববাসী শুরু থেকেই মেনে নেয়নি। এখনো মেনে নিচ্ছে না। ফলে ফিলিস্তিনিদের নির্মূলে সব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিশ্বের নানা জায়গা থেকে প্রতিবাদের আওয়াজ ওঠছে, এমনকি খোদ মানবিক ইহুদিরাও এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ ক্ষোভ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে পুরোবিশ্বে। এটি ইতিবাচক। তবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষকে এবং সব দেশকে এ ব্যাপারে সোচ্চারকণ্ঠ হতে হবে। আমরা মনে করি, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের যেভাবে নির্বিচারে হত্যা করছে তা একটি অমার্জনীয় যুদ্ধাপরাধ। এটি মানবসভ্যতার জন্যও চরম লজ্জার। এ অবস্থায় আর কালক্ষেপন না করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে ইসরায়েলকে থামাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই গ্রহণ করা। আমরা গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের আশু নিরসন চাই। বিশ্ববিবেকের জাগরণ চাই। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে দ্রুত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের উত্থানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্যোগ দেখতে চাই।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট