আবারো চীন! নতুন বছরে নতুন উপহার-এইচএমপিভি বা হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস। চীন সরকারের পুরান বয়ান হচ্ছে, ভয়ের কিছু নেই। শীতের সর্দি!
চলুন জেনে আসি আসলে কি? এইচএমপিভি- মার্কিনমূলকে আগেও অনেক দেখা গেছে। আমেরিকান লাঙ এসোসিয়েশন এর মতে শিশুদের সংক্রমণের হার বেশি। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড এর মত উন্নত দেশেও এটি ছিল। প্রথম সনাক্ত হয় ২০০১ সালে। নানজিং সেন্টারের মতে সর্বোচ্চ ১০০০ জনে ১ জন শিশুর অবস্থা মারাত্মক হতে পারে।
উপসর্গ: সর্দি এবং কাশি, হালকা জ্বর, নাকের জ্যাম, শ্বাসকষ্ট।
কে আনল? তুমি খাঁচা হলে আমি হবো পাখি- পংকজ উদাসের সেই বিখ্যাত গানের কথা মনে আছে? ‘আমরা পুরো নগরকে বানিয়েছি খাঁচা, কেটেছি গাছ, উজাড় করেছি বন।/ হারিয়ে গেছে পাখি, ভেঙ্গে গেছে মন।’ আর এই মনভাঙা পাখিরাই বয়ে আনে বার্ডফ্লু’র মতোই এইচএমপিভি।
কিভাবে ছড়ায়? সেই একই গল্প। কোভিডে যা, এটাতেও তা। কাছাকাছি কাছে আসা, ছোঁয়া, সর্দি, কাশি। ৩ থেকে ৬ দিনে অসুস্থতা।
কিভাবে বুঝবো? শত নকলের ভিড়ে আসল ল্যাব পরীক্ষা একটিই-ব্রংকোএলভিওলার ল্যাভেজ (BAL)
কোন চিকিৎসা? প্রয়োজন নেই।
ভ্যাকসিন? তাও নেই। পরিবারে থাকুন, বিশ্রাম নিন, প্রচুর পানি ও তরল খাবার খান। প্রয়োজনে প্যারাসিটেমল নিন। গরম পানির গার্গল আরামদায়ক। আগে থেকেই বিবিধ জটিলতায় অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি, অক্সিজেন লাগতে পারে।
দূর হও এইচএমপিভি- কি করব? ১। শাসকস্ট, কাশির রোগি থেকে দূরে থাকুন। ২। প্রতিবার বাইরে থেকে এসে ২০-৩০ সেকেন্ড হ্যান্ডওয়াশ করুন। ৩। হাত না ধুয়ে নাক চুলকাবেন না। ৪। কমন সইচ বোর্ড, বইরের দরজার হাতল ডেটল/স্যাভলন দিয়ে মুছে নিন। ৫। অসুস্থ হলে হাঁচি, কাশির সময় মুখ ঢাকুন। মাস্ক পড়ুন, হ্যান্ডওয়াশ করুন।
কি খাব? দৈনিক ১ কাপ গ্রিন টি খান, ৫টি বাদাম, ১ চামচ মধু, ১ চামচ টক দই ও রংধনু সালাদ, ১ টি আপেল, ৮-১০ গ্লাস পানি। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
লেখক: ইন্টারনাল মেডিসিন ও হেল্থ, ইকোনোমিস্ট বিশেষজ্ঞ, কবি ও কলামিস্ট।
পূর্বকোণ/ইব