চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় যদি না থাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

মুহাম্মদ মুসা খান

২৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ১২:৫৭ অপরাহ্ণ

বিগত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার আসার পর হতে একটি ক্ষুদ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অতিরঞ্জিত করে উস্কানিমূলক সাম্প্রদায়িক তথ্য প্রচার করছে। কিছু বিচ্ছিন্ন চুরি-ডাকাতির ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ বলে অপপ্রচার করছে। কয়েকজন মানুষের অপকর্মকে সরকারি সাম্প্রদায়িকনীতি বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। যা কোনো মতেই কাম্য নয়। একথা সর্বজন স্বীকৃত যে, একটি ‘বহুজাতিক ও বহুধর্মীয় রাষ্ট্রে’ জাতিগত ও ধর্মীয় ‘সম্প্রীতি’ অপরিহার্য। একটি দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য বেশকিছু নিয়ামক কাজ করে। তন্মধ্যে অন্যতম নিয়ামক হলো ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’। পৃথিবীর অনেক ‘বহুজাতিক দেশ’ সম্প্রীতির কারণেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যে সমস্ত দেশ জাতিগত-ধর্মীয় সহিংসতা রোধ করতে পারেনি- সেসব দেশে যুগ যুগ ধরে সহিংসতা ও দাঙ্গা লেগে থাকে। আফ্রিকার অনেক দেশ জাতিগত দাঙ্গার কারণে দারিদ্র্যের বলয় থেকে বেরুতে পারছে না।

 

এর মধ্যে অন্যতম হলো- কঙ্গো বুরুন্ডি, সোমালিয়া, ইথুপিয়া, সুদান। তবে ইতিহাসের তথ্যানুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দাঙ্গা হয়েছে সিরিয়ায়। ২০১১ হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সিরিয়াতে ৬১৭৯১০ জন নিহত হয়েছে বলে ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি অব হিউম্যান রাইটস’ উল্লেখ করেছিল। সেসময় ইসলামিক স্টেট (আইএস) হাজার হাজার ‘ইয়াজিদি’ মতবাদের অনুসারিকেও হত্যা করেছিল। ‘ইউএনএইচসিআর’ এই সংঘাতকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতেও ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হন। এই মহাদেশের দুইশ’ বছরের ইতিহাসে হিন্দু-মুসলমান, হিন্দু-শিখ, শিয়া-সুন্নি, সুন্নি-ওয়াহাবি, মুসলমান-বৌদ্ধ, হিন্দুবৌদ্ধ-জৈন-খ্রীস্টান প্রমুখ ধর্মের নামে দাঙ্গা হতে আমরা দেখেছি। তাছাড়া সমাজের অগ্রসর-অনগ্রসর আদিবাসীর দাঙ্গা ও ভাষার নামেও (মারাঠী-গুজরাটি-কন্নড়-অসমীয়া- বাংলা, ওড়িষ্যা-হিন্দী-বাংলা-উর্দু ইত্যাদি) দাঙ্গা সঙ্ঘটিত হতে আমরা দেখেছি। ভারত উপমহাদেশে শত শত জাতিগত ও ধর্মীয় দাঙ্গায় হাজার হাজার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ মারা গেছেন। বাংলাদেশেও সময়ে সময়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লক্ষ্য করা যায়। যদিও অনেকে বলেন- সেটা ভারতের দাঙ্গার ফলাফল। এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত ২ কোটি ৮৩ লাখ লোকের ‘মালয়েশিয়া’-বহুজাতিক-বহুধর্মীয় রাষ্ট্র। সেখানে ভূমিপুত্র-৬৮.৮%(মালয়, ওরাং আসলি, সাবাহ ও সারাওয়াকের আদিবাসী সম্প্রদায়), চীনা-২৩.২%,ভারতীয়-৭.০%, অন্যান্য ১.০%। আবার ৬১.৩% ইসলাম (রাষ্ট্রধর্ম), ১৯.৮% বৌদ্ধ ধর্ম, ৯.২% খ্রিস্টধর্ম, ৬.৩% হিন্দুধর্ম, ১.৩% চীনা লোকধর্ম, ১.৭% অজানা ও ০.৪% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোক আছে। এই দেশটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কারণে আজকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়েছে। হরেক জাতি থাকলেও সবাইকে নিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনের কথা ভাবে মালয়েশিয়ানরা। তাঁদের শ্লোগান হচ্ছে ‘সাতু মালয়েশিয়া’ বা ‘ওয়ান মালয়েশিয়া’।

 

আগে জাতিগত দাঙ্গা হলেও ১৯৬৯ সালের পর থেকে সে দেশে কোনো জাতিগত দাঙ্গা ঘটেনি। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ‘ইয়েমেনে’ ইসলাম ধর্মাবলম্বী ৯৯% হলেও জাতিগত দাঙ্গার কারণে ইয়েমেন দারিদ্রপীড়িত। সেখানে যুদ্ধ লেগে আছে। সে যুদ্ধে সৌদি আরব-ইরানসহ অনেকে জড়িত। ইয়েমেনের জনসংখ্যার মধ্যে প্রধানত আরব মুসলিম (৬৪% সুন্নি শিয়াফি এবং ৩৫% শিয়া জায়েদি)। সংখ্যালঘু হলো মুহাম্মাশিন (অ-আরব গোষ্ঠী যারা বৈষম্যের সম্মুখীন)। অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে মাহরি এবং সোকোত্রি। ইতিহাস দেখলে জানা যাবে যে, সুদীর্ঘ প্রায় ২০০ বছর যাবত (১০৯৫ সাল থেকে ১২৯৯ পর্যন্ত ইউরোপ জুড়ে ক্রুসেড (ধর্মযুদ্ধ) চলেছিল। ১০৯৯ সালে খ্রিষ্টানরা বহু যুদ্ধ, অবরোধ পেরিয়ে মুসলমানদের কাছ থেকে জেরুজালেমের ছিনিয়ে নেয়ার মাধ্যমে সমাপ্তি হয় প্রথম ক্রুসেড। এরপর ১১৪৫ সাল হতে ১২৯৯ সাল পর্যন্ত আরও নয়টি ক্রুসেড সংঘটিত হয়। যাতে একবার খ্রিস্টানরা বিজয়ী হলে, অন্যবার মুসলিমরা বিজয়ী হতে দেখা গেছে। এসব ক্রুসেডে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল। ধ্বংস হয়েছিল কোটি কোটি টাকার সম্পদ। সেই সময়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করতো যে, যারা ক্রুসেডার হয়ে যায়, তারা সবাই পাপের ক্ষমা পাবে এবং স্বর্গে যাবে। এরপর তাঁদের ভাবোদয় হয়। তাঁরা যুদ্ধ হতে ফিরে আসে। আজকের ইউরোপের মানবতাবাদি কর্মকাণ্ড দেখলে বুঝা যাবে না যে, এই ইউরোপ হতেই মাত্র একহাজার বছর আগে হাজার হাজার খ্রিস্টানধর্মাবলম্বী মানুষ ক্রুসেডে অংশ নিয়ে মানুষ হত্যায় মেতেছিলেন এবং নিজেরাও আত্মহুতি দিয়েছিলেন। ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ পৃথিবীতে শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে পারেনি (শুধুমাত্র প্রানহানি ঘটিয়েছে। আজও জেরুজালেম সমস্যার সমাধান হয়নি, আজও সেখানে ইসরাইল হত্যা করছে ফিলিস্তিনিদেরকে)। বরং ক্রুসেড সমাপ্ত হওয়ার পরই সমগ্র ইউরোপ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ খুঁজে পেয়েছিল। জাতিগত ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উদাহরণ টেনে আনার অন্যতম কারণ হলো- যে রাষ্ট্র জাতিগত সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে পেরেছে, সে রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবেউন্নত হয়েছে। আর, যারা পারেনি, তাদের হয় অবনতি হয়েছে অথবা এক জায়গায় আটকে আছে। আমাদের দেশের কিছু ধর্মান্ধ মানুষের মানসিকতা দেখলে মনে হয়- তাঁরা আবার ‘অন্ধকার মধ্যযুগে’ ফিরে যেতে চায়।

 

বৃটিশরা দু’শ বছরের শাসনের সময় ‘ডিভাইড এন্ড রুল পলিসির’ মাধ্যমে এই উপমহাদেশে ‘ধর্মীয় বিভেদের’ যে বীজ বপন করে দিয়েছিল, তা কোনভাবেই যেনো যাচ্ছে না। সামান্য অজুহাতেই সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার (ধার্মিকতা ও ধর্মান্ধতা এক নয়) উদাহরণ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় কিছু মানুষ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সম্প্রদায়িক দাঙ্গার অনেক কল্পকাহিনী আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো এমনভাবে প্রচার করলো, যেনো এখানে সংখ্যালঘুদের উপর ব্যাপক নির্যাতন হচ্ছে (বাস্তবে সেরকম তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি, দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া)। অথচ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রদায়িক ঘৃণার চিত্র দেখলে যেকোনো সভ্য মানুষের গা শিউরে উঠবে। আমরা মনেকরি, যেকোন অন্যায়ের বিচার করার জন্য দেশে সাংবিধানিক সরকার আছে। জনগণের উচিত নয়- আইন হাতে তুলে নেয়া বা বেআইনি কাজ করা (অন্যায় কাজের বেসরকারি প্রতিবাদ হবে নিয়মতান্ত্রিক)। একটু পেছনে গেলে দেখবো যে, আমাদের বাংলাদেশের রয়েছে সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড বিরোধি ঐতিহ্য। ভারত ভাগ হওয়ার পর যখন সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা হয়, তখন এই অঞ্চলের মানুষ দাঙ্গার বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৯৫৮ সালের দাঙ্গার বিরুদ্ধে সারা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল তৎকালীন পুর্বপাকিস্তানের সংবাদপত্রসমূহ। তারা শিরোনাম করেছিল ‘পূর্বপাকিস্তান রুখিয়া দাঁড়াও।’ আর পূর্বপাকিস্তান ঠিকই রুখে দাঁড়িয়েছিল। দাঙ্গা থামাতে গিয়ে মুসলমানরাই প্রাণ দিয়েছেন। আর একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে এই জাগ্রত জনতার অসাম্প্রদায়িক চেতনা বড় ভূমিকা রেখেছিল। ‘সাম্প্রদায়িকতা’ মূলত একধরনের মানসিক ব্যাধি। সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ মানুষ হিংস্র মনোভাবাপন্ন হয়। এই সাম্প্রদায়িক কাজে বা দাঙ্গায় ধর্মের কোন উপকারই হয় না। বরং ধর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অপমানিত হয়, ধর্ম ছোট হয়ে যায়। কবি নজরুল এসব উগ্রতা দেখে এটাকে, ‘জাতের নামে বজ্জাতি’ বলেছেন। তিনি হিন্দু মুসলিমের মিলনের জন্য রচনা করেছিলেন,- ‘মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান,/ মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।’

 

১৯৭১ সনে ‘সব মানুষের রাষ্ট্র’ বানাতে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করলাম, এক নদী রক্ত পেরিয়ে স্বাধীনতার দেখা পেলাম- কিন্তু কষ্ট হয়, যখন দেখি ৫০ বছরেও সেই কাক্সিক্ষত ‘সম্প্রীতির রাষ্ট্র’ পেলাম না! সেলুকাস! এখনো সংখ্যালঘু পরিচয়ে মানুষকে বাঁচতে হয়! একই অবস্থা ভারতেও। বিগত নবগঠিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের’ প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা কেউ সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নই, আমরা সবাই বাংলাদেশী, আমরা সবাই নাগরিক অধিকার দাবি করবো’। আমরা ইউরোপের দিকে তাকালে দেখবো, সেখানের মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নতির শিখরে উঠেছে। আর আমাদের ধর্মানুভুতি এখনও একটি ছোট গন্ডিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। ‘মানবতা যে বড় ধর্ম’- সেই চিরন্তন সত্য আমরা বুঝতে বা প্রতিষ্ঠিত করতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছি। পৃথিবী নামে এই গ্রহে মানুষই তো শ্রেষ্ঠ জাতি। ‘মানুষই মানুষ কে ভালবাসবে’ (সে যে ধর্মাবলম্বি হোক না কেন)। ভিন্নধর্মাবলম্বীদের যেভাবে ঘৃণা করার জন্য কেউ কেউ উৎসাহিত করেন, তা তো ধর্ম নয়। সবধর্মেই ভাল-খারাপ মানুষ আছে। এটা ধর্মের দোষ নয়, মানুষের দোষ। পবিত্র কোরানের সূরা মুমতাহিনা’য় (৮,৯) বলা হয়েছে, ‘যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নি এবং তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বহিষ্কার করে নি, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতে ও তাঁদের প্রতি ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালোবাসেন।’ সুতরাং দেখা যাচ্ছে ইসলামে নিরীহ মানুষদের উপর অত্যাচার করতে স্পষ্ট ভাবেই নিষেধ করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মেও নিশ্চয় এমন পরামর্শ আছে। তাই আমাদের এমন একটি সমাজ ও দেশ বিনির্মান করতে হবে, যেখানে সবাই যার যার ধর্ম পালন করে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবে। ‘টেকসই অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের’ জন্য ‘মানবিক ও পরমত সহিষ্ণু মানুষ, স্বদেশ ও সংস্কৃতি-চেতনায় উদ্ভাসিত মানুষ’ তৈরি করা খুব জরুরি। মানুষকে শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি ‘চিন্তা-চেতনায় ও ধ্যানধারণায় যৌক্তিক এবং উন্নত বোধবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ’ হতে হবে। তাহলে সা¤প্রদায়িক সম্প্রীতিও প্রতিষ্ঠিত হবে।

 

এ দেশে অতীতেও নানান সময় ধর্মীয় ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘোলা জলে মাছ শিকারের মতো রাজনীতি করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে- যা অমূলক নয়। তাই আমাদেরকে ধর্মীয় তথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি দেশ বিনির্মাণের জন্য সচেষ্ট হতে হবে। নতুন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকারে যারা আছেন সবাই পরীক্ষিত সৎ মানুষ। তাঁরা মানুষকে দিতে এসেছেন, কিছু নিতে আসেননি। আমরা যদি সব ধর্মাবলম্বী মানুষ অপপ্রচার বাদ দিয়ে তাদেরকে সহায়তা করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি, তাহলেই টেকসই উন্নয়ন হবে এবং আমরা একটি ‘সমৃদ্ধ দেশ’ পাবো।

 

লেখক: কলামিস্ট ও সমাজকর্মী।

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট