চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্মরণ : আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ

রশীদ এনাম

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

পটিয়া সুচক্রদন্ডী গ্রামটি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এ অবস্থিত। সমগ্র বাংলাদেশে পটিয়ার সুচক্রদন্ডি গ্রামটি বেশ সু-পরিচিত। শিক্ষা-দীক্ষাও সাংস্কৃতিতে সমগ্র চট্টগ্রামে পটিয়ার বেশ নাম যশ আছে। তাই একদা চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজের প্রয়াত অধ্যক্ষ প্রফেসর সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী বলেছিলেন, Patiya is the Brain Box of Chattogram. পটিয়া চাঁনখালী নদীর ইন্দ্রপুল ব্রিজের উত্তর পাশ দিয়ে সুচক্রদন্ডির গ্রামের প্রবেশদ্বার। মুন্সেফবাজরের উত্তর পাশ দিয়েও যাওয়া যায়। পাশে এঁকে বেঁকে বয়ে গেছে চাঁনখালী খাল। খালের পানিতে বাঁশের বেলা সারি সারি করে বিক্রির জন্য সাজানো। খালের পাড়ে নোঙর করা আছে লবণের সাম্পান। চাঁনখালী খালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে লবণশিল্প। চানখালীর পাশে ছিল পটিয়া কালের স্বাক্ষী ষষ্ঠি বৈদ্যার হাট, কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে।

 

 

‘সুচক্রদন্ডী’ শব্দটি সে সময় বৌদ্ধদের মধ্যে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। বৌদ্ধযুগে যেসব গ্রামের নামকরণ হয়েছে তাতে দেখা যায় স্থানীয় সুখ্যাতির সাথে তারা ‘দণ্ডী’ শব্দটি যুক্ত করে দিত। এ থেকে অনুমান করা হয় যে আগেকারদিনে বৌদ্ধদের কোন ধর্মচক্র ছিল বলেই এ গ্রামের নাম সুচক্রদণ্ডী হয়। সুচক্রদন্ডীকে আবার দাইর ও বলা হতো যেমন সুচক্রদন্ডীকে সুইচ্যা দাইর বা উইচ্য দাইর বলা হয়। আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ সড়ক হয়ে একটু ভিতরে গেলে চমৎকার গ্রামটি চোখে পড়বে। পাখি ডাকা, ছায়া ঘেরা পুকুর বিল ঝিল সবুজের হাতছানি সবই আছে। রাস্তার পাশে চোখে পড়বে পুরানো মন্দির, প্রাচীন কালের জমিদার বাড়ি, প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিছুদূর গেলে দেখা যাবে পুকুর পাড়ে ছোট একটা বাড়ি। বাড়িটি আদিকালের ঐতিহ্য বহন করে আসছে । বাড়ির গায়ে লেখা সাহিত্যবিশারদ ভবন।

 

সাতিহ্যবিশারদের জন্মকথা ও তাঁর পরিবারপরিজন : সাহিত্যবিশারদ ভবনে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে ঘরের দেয়ালে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও ড. আহমেদ শরিফের ছবি টাঙ্গানো। এই বাড়িতে আবদুল করিম ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে ১১ অক্টোবর, বাংলা ১২৩৩ সনে ২৫ আশ্বিন জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মুনশী নুরুদ্দীন, মাতা মিশ্রীজান। তাঁর মাতাও ছিলেন হুলাইন গ্রামের শিক্ষিত ও বনেদি পাঠান তরফদার দৌলত হামজা বংশের কন্যা। অপুত্রক মাতামহের নাম ছিল মুশাররফ আলি। বাবা মারা যাওয়ার তিনমাস পর আবদুল করিমের জন্ম হয়। ১৮৮৮ সালে ১৭ বছর বয়সে মাকেও হারান আবদুল করিম। ১৮৮২ সালে আবদুল করিমের দাদা-দাদী তাঁদের ছেলে আইনউদ্দীনের (আবদুল করিমের চাচা) বড় মেয়ের সঙ্গে আবদুল করিমের বিয়ে দেন। ছোটবেলা থেকে দাদা-দাদী ও চাচা আইনউদ্দিনের স্নেহ যত্ন ও ভালোবাসায় লালিত হন। আবদুল করিম ১৯২১ সাল পর্যন্ত চাচার পরিবারেই ছিলেন।

 

শিক্ষাও কর্মজীবন : নিজভূমে সাহিত্যবিশারদ আরবী ভাষা অধ্যয়ন করলে ও পরে সুচক্রদন্ডী মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন, একবছর সুচক্রদন্ডী ইশকুলে বাংলা পড়েন। পরবর্তীতে ভর্তি হন পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে। ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এফএ পড়তে যান। সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামে তথা টেকনাফ অবধি এলাকায় তিনি প্রথম প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এফএ পরীক্ষার কিছুকাল আগে তিনি কঠিন অসুখে পড়েন। অসুস্থতার কারণে আর পরীক্ষা দেয়া হয়নি। ইশকুল শিক্ষা তার এখানে শেষ। পটিয়া মুসলিম শিক্ষার্থীর দুর্বলতার কারণে পটিয়া স্কুলে তখন আরবী-ফারসীর কোনো শিক্ষক ছিলেন না। তাই ইশকুলে তিনি দ্বিতীয় ভাষারূপে সংস্কৃতি পড়েছিলেন। কলেজ ত্যাগের পর তিনি চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে তিনি যোগ দেন সীতাকুন্ড ইংরেজী স্কুলের অস্থায়ী প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে কার্যকাল ফুরিয়ে আসলে তিনি চট্টগ্রামে প্রথম সাবজজ আদালতে ‘এপ্রেনটিস’ হন। ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পটিয়া দ্বিতীয় মুন্সেফী আদালতে বদলী হন। ১৮৯৮ সালের জানুয়ারি মাসে অ্যাকটিং ক্লার্করূপে কমিশনার অফিসে বদলি করিয়ে নেন। চাকুরীজীবনে নবীন চন্দ্রের প্রীতিই আবদুল করিমের বিপদ ডেকে আনে। নবীন চন্দ্রের একটি বিপক্ষ দল ছিল। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে তাঁকে চাকুরি হারাতে হয়। সে সময় আনোয়ারা থানায় ইংরেজী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য হলে তিনি ঐ পদে নিযুক্ত হলেন। তিনি বলতেন, চাকরীজীবনের মধুর কাল তথা ‘স্বর্ণযুগ’ আমার এখানেই (বাহার১৯৬৯) সাতবছর তিনি এখানে কাজ করেন। ১৯০৬ সালে বিভাগীয় স্কুলে ইন্সপেক্টর অফিসে কেরানীর পদে নিযুক্ত হন। ২৮ বছর চাকরি করার পর সেখান থেকে ১৯৩৪ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী তিনি অবসর নেন।

 

সাহিত্যবিশারদের কীর্তি : তাঁর সাহিত্যিক জীবনে দুটি ধারা লক্ষ করা যায়- একটি হলো প্রাচীন পুঁথিপত্র সংগ্রহ ও তাঁর তথ্য সন্ধান করা। তাঁর মধ্যে কোন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলিম ভেদাভেদ ছিল না। তিনি ছিলেন অসম্প্রদায়িক। হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম সবার বাড়ি গিয়ে গিয়ে তিনি পুঁথি সংগ্রহ করতেন। পুঁথি সংগ্রহের কাজটা কিন্তু সমগ্র দেশেই তিনি প্রথম শুরু করেন। সে সময় তিনি বেশ প্রবন্ধ লিখতেন। ত্রিশখানারও বেশী পত্রিকায় তাঁর লেখা ছাপা হতো। সাহিত্য, সংহিতা, সুধা, পূর্ণিমা, নবনূর, অর্চনা, ভারত সুহৃদ, অবসর, প্রদীপ, বীরভূমি, কোহিনূর, প্রকৃতি, আরতি, আশা, ইসলাম প্রচারক, এডুকেশন গেজেটে তিনি নিয়মিত লিখতেন। চট্টগ্রাম থেকে ‘পূজারী’ ও ‘সাধনা’ নামক দুটি পত্রিকা তিনি সম্পাদনা করেছিলেন। সাতিহ্যবিশারদ নবনূর পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন। সাহিত্যানুশীলনের ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ কীর্তি, প্রাচীন পুঁথিপত্র সংগ্রহ প্রাচীন কবিদল, বিশেষত মুসলিম কবিগণকে কোথায়, কি করছেন তার তথ্য সংগ্রহ ছিলো তাঁর ব্রত। সমগ্র দেশে পুঁথি সংগ্রহের জন্য তার নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। স্যার আশুতোষ আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদকে ভীষণ স্নেহ করতেন। তিনি তাঁকে কোলকাতা মেট্রিকের বাংলার পরীক্ষক নিযুক্ত করেন। সৈয়দ এমদাদ আলী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁকে বড় ভাইয়ের মতো জানতেন। সাহিত্যবিশরদের রচিত চট্টগ্রামের ইতিহাস ইসলামাবাদ, ১৩২৫ সনের মাসিক সওগাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। বাংলা একাডেমি গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে। সৈয়দ মর্তুজা আলী সাহেব এটা সম্পাদন করেছিলেন। প্রাবন্ধিক আবদুল হকের মত ও মন্তব্য উলেখ করা যায়- ‘রাষ্টভাষা আন্দোলনের পেছনে সমাজে সর্বাত্নক এবং অনমনীয় সমর্থন অন্যতম উপাদান হিসেবে প্রেরণা দিয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-বাঙ্গালী মুসলমানের উত্তরাধিকর স্বত্বের চেতনা। এই চেতনা যাঁরা সমাজে সঞ্চারিত করেছেন তাঁদের মধ্যে সর্বগণ্য আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ এই অর্থে অজেয়। পুঁথি সংগ্রহ এবং এ সংরক্ষণ গবেষণায় বাঙ্গালী মুসলমানদে মাঝে তিনিই ছিলেন অগ্রগামী এবং মহত্তম কর্মি। এই চেতনার ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা বিশেষভাবে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ এরই অবদান। তাঁর আজীবন সাধনার ফলে আহৃত বিপুল তথ্যপুঞ্জ সমান মানসে ঐ চেতনার জন্ম দিয়েছে এবং আত্ন  ঘোষণার এক অনমনীয় সঙ্কজ সঞ্চারিত করেছে।’

 

সাহিত্যবিশারদের অভিভাষণ : আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের অভিভাষণও বেশ চমকপ্রদ। ১৯৫০ সালে পূর্বপাকিস্তান প্রদর্শনী ও চট্টগ্রাম সাহিত্যসম্মেলনে সভাপতির অভিভাষণে তিনি বলেন- ‘সাহিত্যের প্রধান উপকরণ মানুষ, মানুষের অন্তরে যিনি প্রবেশ করিতে পারেন, তিনিই সাহিত্যিক, তিনি স্রষ্টা। মানুষের অন্তরে প্রবেশের একমাত্র রাজপথ হইতেছে প্রেমের পথ, ভালবাসা ও প্রীতির পথ। তাই সাহিত্যিকের প্রথম ও প্রধান ধর্ম হইতেছে মানুষের প্রতি দরদ ভালবাসা, প্রাণঢালা ভালবাসা। দেশের প্রতি জাতির প্রতি, মানুষের প্রতি চতুর্দিকে প্রকৃতি ও পরিবেষ্টনের প্রতি যাঁহার অন্তরে বিরাজ করে অফুরন্ত ভালবাসা ও প্রীতি, জোর করিয়া বলিতে পারি তাঁহার রচনা সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করিয়া ধন্য হইবে।’

সাহিত্যবিশারদের অগ্রন্থিত সাতটি রচনা : পদ্মাবতী সম্বদ্ধে যৎকিঞ্চিৎ, প্রাচীন বঙ্গ-সাহিত্য ও মুসলমান, বড়যোগীর পুঁথি, রোসাঙ্গ শহর কোথায়? ফকির কবি আলী রাজা ওরফে কানু ফকির, সুফী ও বৈষ্ণব-ভাবাপন্ন মুসলমান কবি ও চট্টগ্রামে সঙ্গীত-চর্চা আবদুল করিমের রচনাসমূহ অগ্রন্থিত থেকে যায়।

 

সাহিত্যবিশারদের কাজের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন : পুঁথিগবেষক ও সংগ্রাহক আবদুল করিমকে ১৯০৯ সালে ‘সাহিত্যবিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং নদীয়া সাহিত্যসভা ১৯২০ সালে ‘সাহিত্যসাগর’ উপাধিতে সম্মানিত করেন। সাহিত্যবিশারদ চট্টগ্রাম সাহিত্যসম্মেলনে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি (১৯১৮)। রাউজানে কেন্দ্রীয় মুসলিম তরুণ সঙ্ঘ আয়োজিত সাহিত্যসম্মেলনে সভাপতি (১৯২৯)। চট্টগ্রামে সাহিত্যসম্মেলনে সংবর্ধনা লাভ (১৯৩৩)। পূরবী সাহিত্যসমিতির সংবর্ধনা (১৯৩৬)। এছাড়াও সাহিত্যপরিষদে তাঁকে সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি ও পরিষদের বিশিষ্ট সদস্য (Fellow) করে সম্মানিত করেন। (১৯০৩)। এ ছাড়া আরও যেসব সম্মান তিনি পেয়েছিলেন তার মধ্যে রয়েছে- বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তৃতাদান (১৯৩৭)। কলিকাতা মুসলিম সমিতির সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি (১৯৩৯)। প্রগতি সাহিত্য সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি (১৯৪৫)। চট্টগ্রামে নিয়াজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীর সাহিত্য সম্মেলনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণ (১৯৫০)। চট্টগ্রাম সংস্কৃতি সম্মেলনে মূল সভাপতি (১৯৫১)। কুমিল্লা সংস্কৃতি সম্মেলনে মূল সভাপতি (১৯৫২) ইত্যাদি।

 

বর্তমান প্রজন্মের দাবি : সাহিত্যবিশারদের মৃত্যুর পর সমগ্র দেশের পত্রপত্রিকা, এমনকি কোলকাতার কাগজেও তাঁর মৃত্যুসংবাদ গুরুত্বের সাথে পরিবেশিত হয়। ঢাকায় পূর্বপাকিস্তান সাহিত্যসংসদ শোক সভা করে। সাহিত্যবিশারদের মৃত্যুতে ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক লিখেছেন, ‘সত্যই কি সব শেষ হয়ে গেল? মাস্টার আবদুল করিম মারা গেছেন, কেরানী আবদুল করিম দেহত্যাগ করেছেন, কিন্তু সাহিত্যবিশারদ মরেননি। তিনি মরতে পারেন না, কারণ চিত্ত, বিত্ত, জীবন এবং যৌবন এ সমস্ত চঞ্চল, কিন্তু কীর্তিমান ব্যক্তি চিরজীবী। কীর্তিমান সাহিত্যবিশারদ আজও জীবিত।’ আমি সাহিত্যবিশারদকে দেখিনি কিন্তু তাঁর বই পড়ে জীবনী জেনে আমার কাছে মনে হয় ছবির মতো তিনি আজও বিভিন্ন লোকালয়ে হেঁটে বেড়ান পূঁথি সংগ্রহের জন্য। সুচক্রদন্ডী গ্রামের মসজিদের পাশে চিরতরে শুয়ে আছেন আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ। শুভ্র টাইলসের তৈরী সমাধিতে মার্বেল পাথরে খুদাই করা এপিটাপ। সাহিত্যবিশারদ ভবনের দেয়ালে টাঙ্গানো ছবি স্মৃতির ঝাঁপিতে বন্ধী হয়ে আছেন যুগ যুগ ধরে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পুঁথিসাহিত্য গবেষণায় নিজেকে আত্ননিয়োগ করেন। তাঁর এই সাধনায় যে শুধু বাংলাভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে তা নয়, বরং বাংলাসাহিত্যে অনেক মুসলমান সাহিত্যিকের দান নতুন করে আবিষ্কৃত হয়েছে। তাঁর অবদান অতুলনীয়। কিন্তু মৃত্যুর ৭০ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও পটিয়াসহ দেশের কোথাও হয়নি সাহিত্যবিশারদের নামে একাডেমি বা পুঁতিগবেষণা ইনস্টিটিউট। বর্তমান প্রজন্মের দাবী সুচক্রদন্ডী গ্রামে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ একাডেমি ও পুঁথি-গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হোক। পুঁথি সাহিত্যের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকুন আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ।

লেখক : প্রাবন্ধিক, ব্যাংকার।

 

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট