বাংলাদেশে বেকারত্ব যে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে, তা জানার জন্য গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। কর্মসংস্থান ও উন্নত জীবনের আশায় অবৈধপথে নৌকায় চড়ে ইতালিসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে গমনের সময় ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশি তরুণদের মৃত্যুর মিছিল, সামান্য পিয়নের চাকরির জন্যেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তরদের প্রতিযোগিতা, জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে বিদেশ গমন-ইচ্ছুক তরুণদের লম্বা লাইন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠশেষে চাকরি না পেয়ে অসংখ্য তরুণের রাস্তা-ঘাটে চা বিক্রিসহ বিভিন্ন অনাকাঙিক্ষত দৃশ্য দেখলে সহজেই ধারণা করা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বেকারত্ব নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেই বাংলাদেশে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে নানা সময় বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে নানা কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কর্মসৃজন নয়, সংকোচনের নানা তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়েছে সবসময়। একদিকে কর্মসৃজন-উদ্যোগের অভাব, অন্যদিকে বাংলাদেশের চাকরির বাজারে চীন, ভারত, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশের চাকরি-প্রত্যাশীদের হানা ও দাপট; সবমিলিয়ে দেশের শিক্ষিত তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বিপজ্জনকভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। পরিণামে দেশে বেকারত্ব দিন দিন চরম রূপ ধারণ করছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এর চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের যে ফল প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক তথা এপ্রিল-জুন সময়ে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩.৬৫ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.২৪ পয়েন্ট বেশি। বিবিএস’র সর্বশেষ এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে বেকারত্বের হার এ সময় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে এসেছে। অন্যদিকে গত এক বছরে দেশে ১০ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থান কমেছে। বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের এমন চিত্র মোটেও সুখকর নয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুসারে, যাঁরা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং গত ৩০ দিন ধরে কাজ প্রত্যাশী ছিলেন, তাঁরা বেকার হিসেবে গণ্য হবেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই নিয়মে বেকারের হিসাব দেয়। বিবিএস’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে দেশে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬লাখ ৪০হাজারে, যা আগের বছরের একইসময়ে ছিল ২৫লাখ। এ হিসাবে একবছরে ৫.৬ শতাংশ বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। এর আগে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে দেশে ২৭লাখ বেকার পেয়েছিল বিবিএস। উল্লেখ্য, অপার সম্ভাবনার এ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই তরুণ। উন্নয়ন-বিশারদরার বলছেন, এই তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে সামিল হওয়ার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। তরুণদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করে উপযুক্ত কর্মসংস্থান করতে পারলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির চরম সোপানে পৌঁছে যেতে পারবে সহজে, অতি দ্রুততার সাথে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিগত সরকারের সময় ‘ভিশন-২১’ ও ‘ভিশন-৪১’ সহ নানা রূপকল্পের কথা বলা হলেও কার্যত তরুণদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও উপযুক্ত কর্মসৃজনের কোনো সুচিন্তিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কিছু গালভরা কথা ছাড়া বাস্তবে কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি কখনো। উল্টো এদেশের চাকরির বাজারে অনধিকার প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বিদেশিদের। ফলে কিছু অংশ বাদ দিলে দেশের তরুণ সমাজের একটা বড় অংশই আজ নানাভাবে সংকটে নিমজ্জিত। তারা পাচ্ছে না যথাযোগ্য মর্যাদা, কাজ ও মেধার যথার্থ সম্মান। বিভিন্ন গবেষণা-প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ থেকে ২২ লাখ তরুণ কর্মবাজারে যুক্ত হন। তাঁদের মধ্যে দেশীয় বাজারে খুব বেশি হলে ১২ থেকে ১৩ লাখের কর্মসংস্থান হয়। আর তাঁদের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হয় ন্যূনতম মজুরিভিত্তিক অনানুষ্ঠানিক খাতে, বাকিরা শোভন চাকরিতে যান। আর প্রতিবছর ৮ থেকে ৯ লাখ মানুষ প্রবাসে যান। বাকিদের কাজের কোনো সুযোগ নেই। গত কয়েক বছরে চরম দুর্নীতি, অর্থপাচার, প্রতিকূল বিনেয়োগ পরিবেশ, সামষ্টিক অর্থনীতিতে বিভিন্ন জটিলতা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে আসাসহ বিভিন্ন সংকটের কারণে কর্মসংস্থান কমছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। আবার বিদেশেও কর্মবাজার খোঁজা, কর্মচাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও রপ্তানির ব্যাপারেও সরকারি উদাসিনতা ছিল। যার কারণে দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে কাক্সিক্ষত কর্মসংস্থানের তেমন সুযোগ তৈরি হয়নি। অথচ সরকারের সর্বোচ্চ সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলে তরুণদের যুগের চাহিদার আলোকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানেরর ব্যবস্থা করে তারুণ্যের শক্তি-সামর্থ্যকে দেশ এগিয়ে নেয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারতো। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কখনো তা করা হয়নি। যার কারণে এখন তরুণ বেকারের সংখ্যা ভয়ংকর মাত্রায় পৌঁছে গেছে। দেশকে কাক্সিক্ষত লক্ষে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি প্রধান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।
বিবিএস’র প্রতিবেদন বলছে, চলতি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে এপ্রিল-জুন সময়ে দেশে কর্মে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা ছয়কোটি ৯লাখ ৪০হাজারে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল সাতকোটি সাতলাখ ১০হাজার। এ হিসাবে একবছরে কর্মসংস্থান কমেছে প্রায় ১০লাখ ৭০হাজার। পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়, গত একবছরে দেশে প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার কমে শ্রমশক্তির আকার দাঁড়িয়েছে সাত কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজারে। গত একবছরে একলাখ ৫০হাজার পুরুষ ও সাতলাখ ৮০হাজার নারী শ্রমবাজার ছেড়েছে। এ হিসাবে শ্রমবাজার ছেড়ে দেওয়া মানুষের প্রায় ৮৪ শতাংশই নারী। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে মাত্র একঘণ্টা কাজ করলেই আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার হিসেবে তাকে কর্মে নিয়োজিত হিসেবে গণ্য করা হয়। তা ছাড়া কেউ একমাস কাজ না খুঁজলেই বেকারের তালিকায় না দেখিয়ে তাকে কর্মবাজারের বাইরে দেখানো হয়। এ ধরনের প্রায় ৯লাখ ৩০হাজার মানুষকে যোগ করলে দেশে প্রকৃত বেকারের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়বে। উল্লেখ্য, দেশে কর্মসংস্থান-সংকট চরম রূপ ধারণ করার সূত্র ধরেই চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথমদিন থেকে ‘কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র সূচনা হয়। ছাত্রদের যুক্তি ছিল দেশে এমনিতেই চাকরির বাজার খুবই ছোট, তার ওপর কোটাতেই যদি ৫৬ শতাংশ সরকারি চাকরি চলে যায় মুষ্টিমেয়দের খপ্পরে তাহলে মেধাবীদের মূল্যায়ন এবং দেশকে এগিয়ে নিতে তাদের অবদান রাখার সুযোগ তৈরি হবে কীভাবে। পরে তা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ রূপ নেয়। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিচারে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন ছিল। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে সরকার ছাত্রদের দাবির প্রতি অনিহা দেখায়। তবে আন্দোলন বেগবান ও অলঙ্ঘনীয় পর্যায়ে চলে গেলে সরকার তড়িগড়ি করে আদালত বসিয়ে সরকারি চাকরিতে শিক্ষার্থীদের দাবির আলোকে সংস্কার আনে। কিন্তু ততোদিনে জল অনেক দূর গড়িয়ে গেছে। আন্দোলনের সময় কয়েকশ’ শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হওয়ায় তারা প্রথমে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ ৯দফা, সর্বশেষ সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজপথে নেমে আসে। তাদের সাথে যোগ দেয় মানবিক চেতনার সাধারণ মানুষও। আর ছাত্র-জনতার বিপ্লবী অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট অর্জিত হয় কাক্সিক্ষত বিজয়। এখন জন-আকাক্সক্ষার ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর মেরামতের পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণেও যুক্তিপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবি জোরালো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বিশ^বরেণ্য অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকবছর ধরেই একটি ‘তিন শূন্যের বিশ্ব’ গড়ার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ, দারিদ্র্য দূরীকরণে শূন্যসম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং সবার জন্য উদ্যোক্তা প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে শূন্য বেকারত্বের একটি ‘তিন শূন্য’র পৃথিবী গড়ে তোলাই তাঁর মূল লক্ষ্য। আর তা অর্জনে লাগবে চারটি মহাশক্তি- তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসা। তাঁর মতে, প্রতিটি মানুষকে তার সৃজনশীল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। চাকরি দেয়া ও চাকরি করা বিষয়টি আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারণার সৃষ্টি করেছে। চাকরি না করে, চাকরিদাতা হিসেবে নিজের সৃজনশীল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। তাছাড়া আয় বৈষম্য শুধু আয় বৈষম্য-ই নয়, সম্পদের বৈষম্যও বটে। এ পৃথিবীতে কারও কারও সম্পদের পাহাড় অথচ কেউ কেউ সম্পদ থেকে নিগৃহীত। সমাজের এ বৈষম্য দূর করতে সৃজনশীল ক্ষমতা প্রয়োগের বিকল্প নেই। আবার প্রতি ১২ বছরে বিশ্বে ১০০ কোটি জনসংখ্যা বাড়ছে। সম্পদ সীমিত হওয়ায় অতীতে আমরা যেভাবে চলেছি, বর্তমানে আর সেভাবে চলার উপায় নেই। আগের চিন্তাধারা থেকে নতুন চিন্তাধারায় প্রবেশ করতে হবে। সমাজ ও বিশ্বকে এগিয়ে নিতে টেকসই উন্নয়ন করার বিকল্প নেই। সমাজকে উন্নয়নে টেকসই চিন্তাভাবনা করতে হবে। তিন শূন্য ও চার মহাশক্তির প্রভাব বাস্তবে কাজে লাগাতে পারলে তা নতুন পৃথিবী সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। বিভিন্ন গবেষণা ও তথ্যপ্রমাণ বলছে, পৃথিবীতে মোট সম্পদের ৫০ ভাগ মাত্র ৮৫ জন লোকের হাতে রয়েছে। আর বাকি ৫০ ভাগ সম্পদের মালিক অবশিষ্ট জনগণ। তাই সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে বেশি বেশি উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। আর উদ্যোক্তা তৈরি হলে কর্মসংস্থানের পথ মসৃণ হয়ে যাবে। এতে দারিদ্র্য ও বেকরাত্বের চিত্রে কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আসবে। টেকসই উন্নয়নের এই তত্ত্বের প্রয়োগের মাধ্যমেই ড. ইউনূস অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে এগিয়ে নিতে চাইবেন- এমনটি আশা করতে চাই আমরা।
উল্লেখ্য, উদ্যোক্তা তৈরির অনুকূল পরিবেশ ও কর্মসংস্থানের অভাবই বাংলাদেশে বেকারত্ব সৃষ্টির মূল কারণ। আর বেকারত্ব জাতি, পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য অভিশাপ। তাই বেকারত্ব দূরীকরণে রাষ্ট্রের গবেষণালব্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন। বেকারত্বের ভয়াবহতা দূরীকরণে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা এবং দায়িত্বশীলতাও সৃষ্টি করতে হবে। তাই স্বনির্ভর উন্নয়ন কৌশল অবলম্বন এবং সামাজিক শিক্ষার মাধ্যমে অজ্ঞতা দূর করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা, প্রযুক্তির ব্যবহার ও উচ্চশিক্ষায় বাস্তবমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং কার্যকর জনশক্তি তৈরি করে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দেশি শ্রমিক নিয়োগে বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে। এ জন্যে বেকার যুবকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে চালু করতে হবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম। মনে রাখতে হবে, দক্ষ মানুষ মানেই সম্পদশালী মানুষ, তারা দেশের সম্পদ। তাই দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে দক্ষ মানুষ তৈরির বিকল্প নেই। দেশের কুটিরশিল্পেও পুনরুদ্ধার করতে হবে। দেশে শিল্প বিকাশের পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি বিদেশে দক্ষ শ্রমিক প্রেরণের সুযোগগুলোও কাজে লাগাতে হবে। মাধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে দক্ষ বাংলাদেশী শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সরকার যদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের দক্ষ জনশত্তি রফতানি করতে পারে তাহলে দেশে বেকারত্ব ক্রমশ হ্রাস পাবে। আমরা আশা করবো, সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতে দ্রুত বেকারত্ব শূন্যের ঘরে নেমে আসে।
পূর্বকোণ/পিআর