
সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হচ্ছে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভেনিউয়ে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জাতীয় পতাকাবাহী শোভিত তার লাশবাহী গাড়ি গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি থেকে রওনা হয়। গাড়িবহরে একটি বাসে রয়েছেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে বিএনপি নেত্রীর কফিন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ওই বাড়িতে নেওয়া হয়। বাড়িটিতে থাকেন তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান।
এদিন বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভেনিউয়ে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই ১৯৮১ সালের ২ জুন তার স্বামী, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জানাজা হয়েছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাকে জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভেনিউজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
ডিএমপি জানিয়েছে, বিএনপি নেত্রীর কফিন বহনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল, ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে, কুড়িল ফ্লাইওভার, নৌ সদর দপ্তর হয়ে বাসভবন ফিরোজা এবং গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক অ্যাভেনিউ, এয়ারপোর্ট রোড, মহাখালী ফ্লাইওভার, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণি, উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের সড়কে বুধবার যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
গত ৪০ দিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ‘আপসহীন নেত্রী’ অভিধা পাওয়া খালেদা জিয়া বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪১ বছর। তিনি পাঁচবারের সংসদ সদস্য, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী; আর বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন দুইবার।
পূর্বকোণ/পিআর