
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি এই জেলার মেয়ে। পরিবারের সবাই তাকে পুতুল নামে ডাকতেন। বাড়িটি মায়ের নামে ‘তৈয়বা ভিলা’ নামকরণ করা রয়েছে। এই বাড়িতেই কেটেছে তার শিশু ও কিশোরীকাল। দিনাজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ১৯৫৪ সালে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন খালেদা জিয়া।
দিনাজপুর পৌর শহরের বালুবাড়ি এলাকায় অবস্থিত তৈয়বা ভিলায় গিয়ে দেখা যায়, ভবনটি বর্তমান ‘ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় তলায় বেগম খালেদা জিয়া এবং তার বাবা-মা যে কক্ষে বসবাস করতেন, ঐ কক্ষগুলো সংরক্ষিত হিসেবে তালাবদ্ধ রয়েছে। এসব কক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য কারিনা বেওয়া নামের একজন বৃদ্ধা আছেন। তিনি দীর্ঘদিন খালেদা জিয়ার বাবা-মাকে দেখাশোনা করেছেন। বর্তমান তিনি ঐকক্ষগুলো দেখাশোনা করছেন।
কেয়ারটেকার কারিনা বেওয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে দায়িত্বে আছি। আমি খালেদা জিয়াকে এখানে এসে পাইনি। তার বাবা-মাকে পেয়েছি। উনারা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আমাকে অনেক খুব ভালবাসতেন। আজ পর্যন্ত এখানে আমি আছি। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা প্রায়ই এই বাসায় আসেন। বর্তমান খালেদা জিয়া মৃত্যুর সংবাদে সেখানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খালেদা জিয়ার শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৭৮ বছর বয়সী মোস্তা হাসানুর নামে এক প্রতিবেশী বলেন, তৈয়বা ভিলাটি খালেদা (পুতুল) আপার মায়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে। আপা আমার থেকে দুই থেকে তিন বছরের বড় হবেন। পাশাপাশি বাড়ি আমাদের, আমি সবসময় তাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতাম। তার বাবা-মা আমাকে অনেক ভালবাসতেন এবং পুতুল আপাও আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
খালেদা জিয়ার খালাতো ভাই আবু তাহের আবু বলেন, আমি আপার চেয়ে অনেক ছোট। আমি জন্মের পর দিনাজপুরে তাকে পাইনি। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি চলে যান। তার মা আমার মায়ের ছোট বোন। তার বাবা-মা আমাকে খুব আদর-যত্ন করতেন। আমরা তার মৃত্যুতে খুব শোকাহত। একটি অনলাইন বার্তা সংস্থার খবর
পূর্বকোণ/এএইচ