
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ওসমান হাদীকে ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই গুরুতর। এই মুহূর্তে আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
রাশেদ খান বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫০ জন প্রার্থীকে টার্গেট করেছে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। তার অংশ হিসেবেই ওসমান হাদীকে গুলি করা হয়েছে। এই দুর্বৃত্তরা তার সঙ্গে বন্ধু হিসেবে মিশেছে, তার অফিসে অনেকবার গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগ যে ঘৃণ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, সেই পরিকল্পনার বিষয়ে আমি দুইজন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছি, আমি বলেছি যদি আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে নির্বাচনের মাঠে আমরা থাকতে পারবো না।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওসমান হাদী যদি আমাদের মধ্যে ফিরে না আসে, তাহলে তার জবাবদিহিতা সরকারকে দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোনোভাবেই এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। আমরা মনে করি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করতে পারবে না। সরকার যদি আগামীতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে চায়, তাহলে প্রথম কাজ হবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেওয়া। ওসমান হাদীর ঘটনার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। আর ওসমান হাদীর ওপর যারা গুলি করেছে, তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
পূর্বকোণ/ইবনুর