
আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অজ্ঞাতপরিচয় শহীদদের মরদেহ উত্তোলন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অজ্ঞাতপরিচয় শহীদদের মরদেহ উত্তোলনপূর্বক শনাক্তকরণ কার্যক্রম বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ১১৪টি কবর চিহ্নিত হয়েছে, যা বাস্তবে কমবেশি হতে পারে। মরদেহ উত্তোলনের পর পোস্টমর্টেম, বোন স্যাম্পল বা টিস্যু সংগ্রহ এবং ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করা হবে। পরিচয় নিশ্চিত হলে ধর্মীয় সম্মান বজায় রেখে পুনরায় দাফন করা হবে।
আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ জনের স্বজন আবেদন করেছেন। আরও কেউ থাকলে সিআইডিতে যোগাযোগ করতে পারবেন। সিআইডি হটলাইনে যোগাযোগ করলে স্বজনদের ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি না কোন কবরে কে আছেন। তাই এই প্রক্রিয়ায় কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সব শহীদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী মরদেহের কোনও ছবি বা সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। বিষয়টি অত্যন্ত সম্মানজনক ও মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট। এ ক্ষেত্রে সবার পূর্বের মতো সহযোগিতা প্রয়োজন।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক বাবা-মা, ভাই-বোন বছরের পর বছর তাদের আপনজনদের পরিচয়ের জন্য অপেক্ষা করেছেন। আমরা এই বেদনার দায় থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাই।
তিনি সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা, চিকিৎসক, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, ডিএমপি এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ইউএনএইচআর)-এর আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্ডিব্রাইডার বলেন, আমি গত তিন মাস ধরে সিআইডির সঙ্গে কাজ করছি। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, আন্তর্জাতিক ফরেনসিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে স্থানীয় সংস্থা সিআইডিকে সহযোগিতা করা হবে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ