
সন্দ্বীপের উন্নয়নকাজ পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দুর্নীতি গত ১৬ বছর ছিল, বর্তমানেও আছে। দুর্নীতি দূর না হলে নতুন করে উন্নয়নকাজ অনুমোদন দেওয়া হবে না।
উন্নয়নকাজ পরিদর্শন শেষে রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় তিনি সন্দ্বীপের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেন। সন্দ্বীপে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নকাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে এ সময় উপদেষ্টা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সভায় প্রশাসন, বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক বিভাগ, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মতবিনিময়ে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বিভিন্ন দাবি ও প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ভাসানচর ও উড়িরচরের সঙ্গে নোয়াখালীর সীমানা বিরোধ মীমাংসার দাবি জানালে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি সরকারের অংশ হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট জেলার পক্ষে কোনো তৎপরতা চালাতে পারি না।’
সভায় উপস্থিত কয়েকজন চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার সীমানা যৌথ সমীক্ষার মাধ্যমে পুনর্নির্ধারণের দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মফ জাহিদুল আলম মিঞা বলেন, সন্দ্বীপের মানুষ আবেদন করলে তারা এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।
এর আগে শনিবার (৩০ নভেম্বর) উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান নিজের জন্মভূমি সন্দ্বীপে যান। এ সময় নৌপরিবহন সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান তার সফরসঙ্গী হিসেবে সন্দ্বীপে যান।
উপদেষ্টা সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া সড়কের চলমান উন্নয়নকাজ, আমীর মোহাম্মদ ফেরিঘাটে নির্মাণাধীন সংযোগ বন্দরের কাজ (কানেক্টিং পোর্ট) এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। চলমান প্রকল্পগুলোর কাজের মান, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সন্দ্বীপে এসে বিদ্যুতের খুঁটি আর রাস্তার যে অনিয়মের চিত্র দেখলাম, তাতে নতুন উন্নয়নকাজের কোনো অর্থ নেই।’
পূর্বকোণ/পারভেজ