চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করার হুশিয়ারি তাহেরের

সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করার হুশিয়ারি তাহেরের

অনলাইন ডেস্ক

৬ নভেম্বর, ২০২৫ | ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে। ফেব্রুয়ারি কাছাকাছি চলে এসেছে, কিন্তু গণভোটের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না। নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করব। কিন্তু ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই, বুঝে নিন। নো হাঙ্কি-পাঙ্কি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই।’

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল–পূর্ববর্তী সমাবেশে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, নভেম্বরে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার লক্ষ্যে এদিন সেখানে সমবেত হয় আট দলের নেতকর্মীরা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, জুলাই-অগাস্টের রক্তই হবে শেষ রক্তদান। এসময়ের শাহাদাতই হবে শেষ শাহাদাত। আমরা আশা করেছিলাম, জুলাই বিপ্লবের পরে দাবি আদায়ে আর রাজপথে নেমে আসতে হবে না। কিন্তু আমরা আশাহত হয়েছি। অল্প সময়ের ব্যবধানেই আমাদের রাজপথে আসতে হয়েছে। আমরা রাজপথে এসেছি, প্রয়োজনে রক্ত দেব, প্রয়োজনে জীবন দেব; কিন্তু আমরা জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেব না। ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজয় হবে। জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হুবহু সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আগামী সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হবে নাকি আগেই হবে— এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতসহ কয়েকটি দলের মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সোমবার উপদেষ্টা পরিষদ জরুরি বৈঠক করে দলগুলোর কাছ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ‘ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা’ চেয়েছে।

জামায়াত নেতা তাহের বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ, এই চালাকি আপনাদের বিপদে ফেলবে। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও গণভোট আয়োজনে কোনো বাধা নাই। সুতরাং সময় আছে। আরও ১৫ দিন সময়ক্ষেপণ করবেন? করেন, গণভোটের সময় থাকবে। সুতরাং যা বোঝাতে চাই, বুঝে নিন।’

সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আলাদা দিনে হলে বিপুল অর্থের অপচয় হবে বলে মত দিয়েছেন কেউ কেউ।

এর বিরোধিতা করে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘শুধুই বলেন, গণভোট আয়োজনে নাকি অনেক টাকা খরচা হবে। একদিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয় তা দিয়ে একটা গণভোট আয়োজন করা যায়। প্রত্যেকদিন একটা করে গণভোট আয়োজন করলেও সমস্যা হবে না। তাই সরকারকে বলব, আর যারা চাঁদাবাজিতে জড়িত, তাদের বলব—এসব বন্ধ করেন, তাহলে গণভোট আয়োজনে টাকার অভাব হবে না।’

জামায়াতে ইসলামীর এ নায়েবে আমির বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, সমাধান চাই, আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই। আমরা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চাই।
যদি বুঝতে কষ্ট হয়, তাহলে আসেন, বসি, আলোচনা করি। সরকারও তো আলোচনা করতে বলেছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তাহের বলেন, ‘আলোচনার চাপটা তো সরকারকেই নিতে হবে। আলোচনার জন্য একটা রেফারির ভূমিকার দরকার আছে। সেই ভূমিকাটা সরকারকে নিতে হবে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট