
একটি দলের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বদল করছে, বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াতে ইসলামী এমন অভিযোগ করেছে।
রোববার (২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এমন অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে জোট গঠিত হলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে- গত ২৩ অক্টোবর এমন বিধান সংযোজন করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিএনপির একজন নেতার সঙ্গে জনৈক উপদেষ্টার তথাকথিত ‘জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট’-এর মাধ্যমে নিজেদের অনুমোদিত সেই আদেশ বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার।
গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদিত আরপিও যদি বাতিল হয়, তবে তা হবে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলছেন, এর আগে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতা ও সরকারের মধ্যে অবস্থানকারী কোনো উপদেষ্টার যোগসাজশে যদি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নষ্ট হয়, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে আরপিও বহাল রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
এর আগে শনিবার আরপিও সংশোধনের চেষ্টার প্রতিবাদ জানান জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেন, অগোচরে উপদেষ্টা পরিষদ আরপিও সংশোধন করছে। যা একটি দলের কাছে সরকারের নতি স্বীকার।
পূর্বকোণ/পারভেজ