
আবারও পড়েছে স্বর্ণের দাম। বুধবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সময় বিকাল ৫টা ৪২ মিনিটে স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি চার হাজার ৫৪ দশমিক ৩৪ ডলারে, যা প্রায় বিগত দু’সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ওই সেশনেই স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি চার হাজার ১৬১ দশমিক ১৭ ডলারে পৌঁছেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ওই মূল্যে এক দশমিক সাত শতাংশ পতন ঘটে।
আগেরদিন মঙ্গলবার, স্বর্ণের দাম হয়েছিল চার হাজার ১১৫ দশমিক ২৬ ডলার। শতকরা হারে এটি ছিল গত পাঁচ বছরের মধ্যে এক দিনে সবচেয়ে বড় পতন।
সোমবার স্বর্ণের দাম রেকর্ড চার হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে পৌঁছেছিল। তবে, পরদিন স্পট গোল্ডের দাম এক ধাক্কায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ কমে যায়। ২০২০ সালের আগস্টের পর সেটা ছিল একদিনে সবচেয়ে বড় দর পতনের হার।
এদিকে, ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ড ফিউচারের দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি চার হাজার ৬৫ দশমিক ৪০ ডলারে স্থির হয়।
চলতি বছরে স্বর্ণের দাম ইতোমধ্যেই রেকর্ড ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা এবং ইটিএফ-এ শক্তিশালী বিনিয়োগ প্রবাহের কারণে এই লাগামহীন দৌড় দেখা যায়।
বিনিয়োগকারীরা প্রায় নিশ্চিতভাবে ধারণা করছেন, আগামী সপ্তাহের বৈঠকে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমাবে। সাধারণত সুদের হার কমলে স্বর্ণের মতো সম্পদের চাহিদা বাড়ে।
স্যাক্সো ব্যাংকের কমোডিটি স্ট্র্যাটেজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান ওলে হ্যানসেন বলেন, ২০২৬ সাল পর্যন্ত আমরা স্বর্ণ ও রৌপ্যের বাজারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখছি। সাম্প্রতিক এই দরপতন মূলত একটি স্বাভাবিক সংশোধন বা স্থিতিশীলতার ধাপ।
এদিকে, রাশিয়া বুধবার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠকের প্রস্তুতি এখনও চলছে। বিনিয়োগকারীরা আগামী সপ্তাহে ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সম্ভাব্য বৈঠক নিয়েও দৃষ্টি রাখছেন।
অন্য ধাতুগুলোর মধ্যে স্পট সিলভারের দাম ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪৭ দশমিক ৯৫ ডলারে হয়েছে। আগেরদিন এই ধাতুর ৭ দশমিক ১ শতাংশ দর পতন হয়েছিল। প্লাটিনামের দাম সাড়ে চার শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি এক হাজার ৬২০ দশমিক ৮৩ ডলারে পৌঁছায়, আর প্যালাডিয়ামের দাম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি এক হাজার ৪০৯ দশমিক ৮০ ডলারে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
পূর্বকোণ/এএইচ