চট্টগ্রাম সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড কোনো ব্যক্তি নয়: তারেক রহমান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড কোনো ব্যক্তি নয়: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক

৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলন এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তারা এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড। কোনো দল কোনো ব্যক্তি নয়, এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।

 

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। সোমবার (৬ অক্টোবর) সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।

 

নিজেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘না। আমি অবশ্যই এই জুলাই আন্দোলনে আমাকে আমি কখনোই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না।’

 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি জুলাই-আগস্ট মাসে এসে জনগণ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সাথে অংশগ্রহণ করেছে।’

 

‘এই আন্দোলনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা, সেটি বিএনপি হোক বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হোক, যারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে। বিভিন্নভাবে তাদের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হয়েছে।’

 

এসময় তারে এখনও দেশে ফেরেননি কেন, এমন প্রশ্নে জবাবে তারেক রহমান বলেন, কিছু সঙ্গত কারণে ফেরা হয়নি। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।

 

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি যখন করি, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বলি— নির্বাচনের সঙ্গে, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতি কর্মীর ওতপ্রোত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে জনগণের প্রত্যাশিত একটি নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন থেকে কীভাবে দূরে থাকব?

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে- নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকব।

 

নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রত্যাশী হিসেবে তারেক রহমানকে দেখতে পাব কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণের। আর বিএনপির ক্ষেত্রে হলে সেটি দল সিদ্ধান্ত নেবে।

 

বিএনপি দলগতভাবে নাকি জোটবদ্ধভাবে আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে আগামী নির্বাচন করবে– এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রায় ৬৪টি রাজনৈতিক দল বিগত স্বৈরাচারের সময় যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম কমবেশি একসাথে কাজ করার জন্য। এমনকি আমরা যে ৩১ দফা দিয়েছি রাষ্ট্র পুনর্গঠনের, এটি প্রথমে ২০১৬ সালে আমরা দিয়েছিলাম শুধু বিএনপির পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে ভিশন টুয়েন্টি ছিল। যেটা পরবর্তীতে কিছুটা আরেকটু ডেভেলপ করে আমরা ২৭ দফা দিয়েছিলাম।’

 

‘পরবর্তীতে আমরা আমাদের সাথে যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তাদের সাথে পরামর্শ করে সকলের মতামত নিয়ে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। কারণটি হচ্ছে যে দলগুলোকে আমরা পেয়েছি আমাদের সাথে রাজপথের আন্দোলনে, আমরা চাই সকলকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে। সকলের মতামতকে সাথে নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে চাই।’

 

নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘কেন নেব না? অবশ্যই নেব’।

 

খালেদা জিয়া আসন্ন নির্বাচনে কোনো ভূমিকায় থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, আপনি এমন একজন মানুষের কথা বলেছেন, যিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার যতবার হরণ করা হয়েছে, ততবার তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবদান রেখেছেন। এবারও আপনাদের সবার চোখের সামনেই ঘটেছে, কীভাবে স্বৈরাচারের সময় তার ওপর অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে। কিন্তু তিনি আপস করেননি।

 

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলখানায় নেওয়া হয়। আমরা দেখেছিলাম জেলে একজন সুস্থ মানুষ গেছে। অথচ, বেরিয়ে এসেছেন একজন অসুস্থ মানুষ। তাকে চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। এসব ঘটনা দেশবাসী জানেন। তারপরেও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে মানুষটির এতবড় অবদান রয়েছে, আমি সেই দলের একজন কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রকে পুনপ্রতিষ্ঠিত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জনপ্রত্যাশিত নির্বাচনে ওনার শারীরিক সক্ষমতা অ্যালাউ করলে নিশ্চয়ই তিনি কিছু না কিছু ভূমিকা রাখেবেন।

 

খালেদা জিয়া আসন্ন নির্বাচনে কোনো ভূমিকায় থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, আপনি এমন একজন মানুষের কথা বলেছেন, যিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার যতবার হরণ করা হয়েছে, ততবার তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবদান রেখেছেন। এবারও আপনাদের সবার চোখের সামনেই ঘটেছে, কীভাবে স্বৈরাচারের সময় তার ওপর অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে। কিন্তু তিনি আপস করেননি।

 

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলখানায় নেওয়া হয়। আমরা দেখেছিলাম জেলে একজন সুস্থ মানুষ গেছে। অথচ, বেরিয়ে এসেছেন একজন অসুস্থ মানুষ। তাকে চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। এসব ঘটনা দেশবাসী জানেন। তারপরেও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে মানুষটির এতবড় অবদান রয়েছে, আমি সেই দলের একজন কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রকে পুনপ্রতিষ্ঠিত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জনপ্রত্যাশিত নির্বাচনে ওনার শারীরিক সক্ষমতা অ্যালাউ করলে নিশ্চয়ই তিনি কিছু না কিছু ভূমিকা রাখেবেন।

 

ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে কি না জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি যেটা দেখলাম বিভিন্ন মিডিয়াতে কিছু ব্যক্তি, যেমন-মান্না ভাই, ওনাকে উনি তো বোধ হয় দুবার ভিপি ছিলেন। আমার থেকে অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাজনীতিবিদ।’

 

‘আমরা যদি উনার বক্তব্য শুনে থাকি বা ধরে থাকি তাহলে তো আমি মনে করি না কোনো কারণ আছে। ছাত্ররাজনীতি ছাত্ররাজনীতির জায়গায়, জাতীয় রাজনীতি জাতীয় রাজনীতির জায়গায়।’

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট