
সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নেমেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এতে প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ মা ও শিশু নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন’-ছয় দফা দাবির ব্যানারে বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মস্থলে ফিরবেন না।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে– নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতক বা সমমান যুক্ত করা, ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা।
সংগঠনের সদস্য সচিব ফজলুল হক চৌধুরী বলেন, সারাদেশে ১৫ হাজার টিকাদান কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মা ও শিশু টিকা নেন। আমাদের কর্মবিরতির কারণে তারা এখন টিকা পাচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে সেটি অনিশ্চয়তায় পড়বে। এতে প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর টিকা বঞ্চিত হতে পারে।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) প্রকল্প ব্যবস্থাপক এস এম আব্দুল্লাহ-আল-মুরাদ বলেন, মা ও শিশুর টিকাদান কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মবিরতিতে যেতে মানা করেছিলাম। তবে তারা না শুনে কর্মবিরতিতে গেছে। সরকারি চাকরিজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন না করার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।
পূর্বকোণ/পারভেজ