বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭% শুল্ক আরোপ নিয়ে নিজের দেয়া ফেসবুক পোস্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে তিনি শুল্ক আরোপ নিয়ে একটি বিশ্লেষণ দিয়েছেন। তা হলো-
১. যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীন ও ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাঁদের থেকে বেশি শুল্কের শিকার হচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
২. যুক্তরাষ্ট্র যে বলছে বাংলাদেশে ৭৪% শুল্ক, সেটা আসলে ঠিক হিসাব করা হয়নি এবং এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট করা জরুরি।
৩. এই শুল্ক কাঠামোর নেতিবাচক প্রধান প্রভাব পড়বে তৈরি পোশাক, বস্ত্র ও খাদ্য শিল্পে। এসব খাতে যুক্তরাষ্ট্র কেবল বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল নয়; অতিরিক্ত এই শুল্ক আরোপের কারণে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা করাই কঠিন হয়ে উঠবে।
৪. এই পরিস্থিতিতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বেসরকারি খাতের প্রকৃত প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে মার্কিন প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নীরব থাকা বা পদক্ষেপ নিতে দেরি করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
তাবিথ আউয়াল, সভাপতি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
পূর্বকোণ/পিআর