মাইলেজ সমস্যাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন রেলের রানিং স্টাফরা। কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন তারা। যার মাধ্যমে ৩০ ঘণ্টা পর সারাদেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৫টায় বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচি প্রত্যাহারের কারণে বুধবার সকাল ৯টার পর থেকে শিডিউল ট্রেনগুলো প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে।

বিভিন্ন দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখেন রানিং স্টাফরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) কয়েক দফায় বৈঠক শেষে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে মধ্যরাতে কর্মবিরতি থেকে সরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে রেলপথ উপদেষ্টার বাসভবনে বৈঠকে বসেন ইউনিয়নের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে। বৈঠক শেষ হলে রাত আড়াইটার সময় কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের চাকরির ধরন আলাদা। আমাদের কোন শিডিউল ছুটি নেই। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর আমাদের কিছু সুবিধা রোহিত করা হয়েছিল। গত সরকারের আমল থেকে আমরা বিভিন্ন সময় কর্মসূচি দিয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পরেও আমরা রেলের সচিব ও ডিজি মহোদয়ের সঙ্গে বসেছি। আমরা তাদের সময় দিয়েছি। এরপর বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।

তিনি আরও বলেন, এখানে ছাত্রনেতারা আছেন ও আপনাদের সামনেই উপদেষ্টা জানিয়েছেন, কালকের মধ্যেই সমাধান করবেন। আর আমাদের পূর্বের সব সুবিধা বহাল থাকবে। এছাড়া ২০২২ সালে যাদের নিয়োগ হয়েছে, তাদের বিষয়টি আগামীকাল চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে।

মজিবুর রহমান বলেন, আমরা কখনও যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে চাইনি। কিন্তু আমরা বাধ্য হয়েই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলাম। বিষয়টার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। রানিং স্টাফ ভাইদের বলব, তারা যেন তাদের কর্মে ফিরে যায়, ট্রেন পরিচালনার দিকে মনোযোগ দেয়। এখন থেকে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলাম।

পূর্বকোণ/মাহমুদ