চট্টগ্রাম সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব

অনলাইন ডেস্ক

১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৬:২৩ অপরাহ্ণ

সীমান্তে কাঁটাতারের ‘অননুমোদিত’ বেড়া নির্মাণ নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করেছে দিল্লি। এনডিটিভি লিখেছে, চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তের পাঁচ স্থানে বেড়া নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করার পরদিনই এ পদক্ষেপ নিল ভারত।

 

রোববার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান প্রণয় ভার্মা। সেখানে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে তার ৪৫ মিনিটের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পাশাপাশি সীমান্ত হত্যার ঘটনায় পররাষ্ট্র সচিবের উদ্বেগ প্রকাশের কথা তুলে ধরা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

 

মন্ত্রণালয় বলেছে, সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বিএসএফ কর্তৃক এক বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে ‘সীমান্ত হত্যার ঘটনার এমন পুনরাবৃত্তিতে উদ্বেগ ও হতাশা’ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব। বৈঠকের পর বেরিয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, “অপরাধহীন সীমান্ত নিশ্চিত করা; চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল ও পাচারের চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবেলার জন্য আমাদের নিরাপত্তায় সীমান্তে বেড়া নির্মাণের বিষয়ে বোঝাপড়া আমাদের রয়েছে।

 

“এক্ষেত্রে আমাদের দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবি যোগাযোগ করছে। ”তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি, দুপক্ষের যে সিদ্ধান্তগুলো আছে, তার বাস্তবায়ন হবে এবং অপরাধ মোকাবেলায় সহযোগিতার দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। ”রোববারই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, সীমান্তের পাঁচ স্থানে ভারতের বিধিহির্ভূত বেড়া নির্মাণের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা ঠেকানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাটের তিন বিঘা করিডোর, নওগাঁর পত্নীতলাসহ পাঁচ সীমান্তে শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে ভারত সম্প্রতি কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে একটা আলোচনা হয়েছে। আমাদের বিজিবি ও জনগণ খুব শক্ত অবস্থান নেওয়ায় এই জায়গায় থেকে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে (ভারত)।”

১৯৭২ সালের ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে মৈত্রী চুক্তি হয়, তার আলোকে ১৯৭৫ সালে সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।ওই নীতিমালার প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভেতরে কেউ কোনো ‘প্রতিরক্ষা সামর্থ্য বা ডিফেন্স পোটেনশিয়ালিটি’ আছে- এইসব জিনিস কেউ করতে পারবে না। আর ওই ১৫০ কাজের ভেতরে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে সেক্ষেত্রে একে অপরের সম্মতি নিতে হবে।

 

এনডিটিভি লিখেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে স্থিতিশীল। কিন্তু ছাত্র নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতে তার আশ্রয় নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। শেখ হাসিনাকে ফেরাতে গত মাসেই দিল্লিকে ‘নোট ভারবাল’ (কূটনৈতিক পত্র) দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

 

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট