নতুন বছরে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই তিন দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। কেননা, এই তিন বন্ধু রাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্বার্থ নিহিত।
বুধবার (১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন বছরের অগ্রাধিকার নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তৌহিদ হোসন বলেন, এ বছর অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা স্মুথ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আমরা আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক চাই, চীনের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক চাই। কারণ, আমাদের স্বার্থ আছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, যাদের কথা বললাম তাদেরও স্বার্থ নিহিত আছে ভালো সম্পর্কের মধ্যে। কারণ, আমাদের স্বার্থ আছে প্রতিটি ক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে। কাজেই আমি যথেষ্ট আশাবাদী। এ বছর শেষ হতে আমরা আরও নিশ্চিতভাবে বলতে পারব আমাদের সব প্রতিবেশী এবং বন্ধু প্রতীম দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। তিনটি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকার যথেষ্ট আছে। কারণ, এই তিন জায়গাতে আমাদের স্বার্থ খুব শক্তভাবে নিহিত।
এ ছাড়া অন্যান্য অগ্রাধিকার বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে- রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, তিন গুরত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা এবং আরও ভালো অবস্থানের সৃষ্টি করা।
রাখাইন পরিস্থিতি কতখানি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন-এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, রাখাইন পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ, এখানে গ্রাউন্ড রিয়ালিটি পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, এই মানুষগুলোকে (রোহিঙ্গাদের) অধিকার এবং নিরাপত্তাসহকারে ফেরত পাঠানো। নিরাপত্তা না দিতে পারলে তারা যেতে চাইবে না। এ সময় পদ্মা-গঙ্গা চুক্তি নিয়ে টেকনিক্যাল পর্যায়ে আলোচনা হওয়ার কথাও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ