ছাত্রজনতার আন্দোলনে সরকার পতন পরবর্তী চারমাসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২২শ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯৫২ পুলিশকে। এসব মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি, সাবেক ও বর্তমান অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজি থেকে পুলিশ কনস্টেবলকে আসামি করা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আলোচিত ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ১৭১টি। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ১৫৫টি। পুলিশ সদরদপ্তরের করা তালিকা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি পাঁচজন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ৩৫ জন, বর্তমান অতিরিক্ত আইজিপি পাঁচজন, সাবেক ডিআইজি ১২ জন, বর্তমান ডিআইজি ১১ জন, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি একজন, বর্তমান অতিরিক্ত ডিআইজি ৪৩ জন, পুলিশ সুপার ৪৫ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৫৭ জন, সহকারী পুলিশ সুপার ৩২ জন, পরিদর্শক ২১৫ জন, সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) ৩৩৫, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর একজন, সহকারী সাব ইন্সপেক্টর ৮৯ জন, নায়েক দুজন ও কনস্টেবল ৬৪ জন।
ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পুলিশ কর্মকতাদের মধ্যে সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১২৫টি, ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি মামলা হয়েছে।
এছাড়া সাবেক আইজিপিদের মধ্যে একেএম শহীদুল হক ২৩টি, বেনজির আহমেদ ১১টি এবং সাবেক অতিরিক্ত আইজিপিদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম ৪৬টি, বনজ কুমার মজুমদার আটটি, মোখলেসুর রহমান চারটি, আছাদুজ্জামান ছয়টি, আতিকুল ইসলাম পাঁচটি, ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ২০টি, মোহাম্মদ আলী মিয়া ৮টি, সিএমপির সাবেক কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় নয়টি, চট্টগ্রামের সাবেক ডিআইজি আনোয়ার হোসেন পাঁচটি, একেএম হাফিজ আক্তার ১৫টি, ড. খ মহিদ উদ্দিন পাঁচটি, আবদুল বাতেন সাতটি মামলায় আসামি হয়েছেন।
ডিআইজিদের মধ্যে সাবেক ডিআইজি মনিরুজ্জামান সাতটি, আসাদ্জ্জুামান ১৮টি, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ২০টি, অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম মেহেদী হাসান ৩১টি, অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জিত কুমার রায় নয়টি, অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান ১৪টি, অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলি শেখ ১৪টি, রশিদুল হক পাঁচটি, মোস্তাফিজুর রহমান পাঁচটি, প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার নয়টি, হায়াতুল ইসলাম তিনটি, কাজী আশরাফুল আজিম পাঁচটি, সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন আটটি মামলায় আসামি হয়েছেন।
পুলিশ সুপারদের মধ্যে কাজী মনিরুজ্জামান ১৯টি, আবদুল আহাদ তিনটি, রাজি আল মাসুদ চারটি, ইকবার হোসেন ২৭টি, মাহফুজুর আল রাসেল তিনটি, জাহিদ তালুকদার চারটি, শাহেন শাহ মাহফুজ পাঁচটি, হাসান আরাফাত চারটি, নুরুল আমিন ছয়টি, আবদল্লাহ আল কাফি ১০টি, সহকারী পুলিশ সুপার আল ইমরান হোসেন পাঁচটি, গোলাম রুহানী ১০টি, মসিউর রহমান পাঁচটি, জাকির হোসেন চারটি এবং সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তিনটি মামলায় আসামি হয়েছেন।
এছাড়া পরিদর্শকদের মধ্যে কেশব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তিনটি, এনামুল হকের বিরুদ্ধে ছয়টি, রাজিব শর্মা তিনটি, আমির হোসাইন তিনটি, এএফএম সায়েদ চারটি, আরাফাত হোসেন তিনটি ও মামুন মাতব্বরের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। বাকীদের পরিদর্শকদের মধ্যে কারও বিরুদ্ধে দুটি আবার কারও বিরুদ্ধে একটি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এসআইদের মধ্যে মুকিব হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তিনটি, কল্লোল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আটটি এবং আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে কারও বিরুদ্ধে দুটি আবার কারও বিরুদ্ধে একটি করে মামলা হয়েছে।
পূর্বকোণ/ইব