চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

সীমান্তে ভারতের ভূমিকায় বিজিবিকে সাহসিকতা দেখাতে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৬:১৬ অপরাহ্ণ

ভারতের ভূমিকায় সীমান্তে বিজিবিকে সাহসিকতা দেখাতে বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আর মিয়ানমার সীমান্ত বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বায়তুল ইজ্জতে বাহিনীর ১০২তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তার কাছে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ভারত সীমান্তে কয়েকদিন পরপর হত্যা হচ্ছে, পতাকা বৈঠক হচ্ছে; কিন্তু হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। মাদক চোরাচালান হচ্ছে। তারা আবার উল্টো বাংলাদেশকে হুংকার দিচ্ছে, এ বিষয়ে বাংলাদেশের নীতি কী?

 

উত্তর দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর বলেন, “বিজিবিকে অর্ডার করা হয়েছে- তারা যেন কোনো সময়, কোনো অবস্থায় পিঠ না দেখায়, বুকটাই যেন দেখায়।”

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিষয়ে দেশের সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা যে ধরনের হুংকার দিচ্ছে, আমরাও কিন্তু এর চেয়ে বেশি প্রতিউত্তর দিচ্ছি।

 

“সাংবাদিকদের একটা অনুরোধ করব…ওদের মিডিয়া কিন্তু প্রচুর মিথ্যা কথা বলছে, ওটার প্রতি উত্তর আপনারা দিতে পারেন এবং সত্যি ঘটনা প্রকাশ করে আপনারা দিচ্ছেন। আপনাদের আরও সোচ্চার হতে হবে।”

 

সম্প্রতি সিলেট সীমান্তে ঘটা দুই হত্যাকে স্থানীয়দের অন্তর্কোন্দল বলে বর্ণনা করেছেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর।

 

“লাস্ট যে দুইটা হত্যা হয়েছে, সেটা বিএসএফের মাধ্যমে না- লোকালদের মাধ্যমে। এপারেও খাসিয়া আছে, ওপারেও খাসিয়া আছে; খাসিয়ারা অনেক সময় এপার থেকে ওপারে ক্রস করে যায়। নিজেদের মধ্যে শত্রুতা আছে, সেটা অনেক সময় তারা উদ্ধার করে।”

 

মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিরতার জন্য বাংলাদেশের কোনো শঙ্কা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “গতকাল আমি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালকসহ সীমান্ত ভিজিট করে আসছি। সেখানে কোনো উত্তেজনা নেই। বর্ডার সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

 

“আপনারা জানেন আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার আর্মির যুদ্ধে আরাকান আর্মি আমাদের অপজিটের জায়গাগুলি দখল করে নিয়েছে। এখন আমাদের সমস্যা হচ্ছে- আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে।”

 

উদাহরণ টেনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ধরেন, একটা পতাকা বৈঠক যদি করতে হয়- তাহলে মিয়ানমার সরকারের সাথে পতাকা বৈঠকের কোনো জায়গা নাই। যেহেতু তারা এপারে আসতে পারে না।

 

“আরাকান আর্মির সাথে আমাদের যোগাযোগ আছে, বাট ওই ধরনের বৈঠক করা তো ডিফিকাল্ট।”

 

মিয়ানমার সীমান্তে নৌনিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আপনারা জানেন আমাদের সেন্টমার্টিন যেতে হলে নাফ নদী আমাদের দরকার পড়ে। বিজিবি কোস্ট গার্ডদের যেতে তারা বাধা দেয় না।

 

“কিন্তু অনেক সময় বড় বড় জাহাজগুলোকে তারা বাধা দেয়। এটা নিয়ে তাদের সাথে আমাদের নেগোসিয়েশন চলছে। অচিরেই এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।”

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, পুলিশের আইজি বাহারুল আলম।

 

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট